মেয়েরাও যৌতুক নেয়

Ads Inside Post

মেয়েরাও যৌতুক নেয়



golpo-ghar.blogspot.com
golpo-ghar.blogspot.com

আজকাল কাবিনও এক ধরনের যৌতুক হয়ে গেছে । ছেলে মাসে ইনকাম করে ৩০০০০ হাজার কিন্তু কাবিন ধরে ১০_২০ লক্ষ!
ধরি, প্রতি মাসে ছেলে জমায় ২০০০০ টাকা, বিয়ের খরচ বাদ দিলাম , তার মানে প্রায় পাঁচ বছর ধরে টাকা জমালে ছেলে শুধু কাবিনের টাকা জমাতে পারবে ! আর বিয়ের খরচ জমাতে গেলে ছেলের তো, নিজের ছেলে বিয়ে দেবার বয়সে বিয়ে করা লাগবে !
অনেকেই বলে কাবিন এর টাকা বেশি মানে মেয়ের সিকিউরিটি মানি, সামাজিক নিরাপত্তা ! প্রশ্ন হল, বিয়ে তো একটা সম্পর্ক সেখানে লেনদেন করে কিভাবে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় ? টাকা বেশি মানে মেয়ে সুখী হবে এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে ?
বিয়ের পরে যদি ছেলে স্বামী হিসেবে ভাল না হয়, থাকতে না চায় তখন সেই সিকিউরিটি মানি দিয়া কি অন্য একটা ভাল জামাই কেনা যায়?
ভালবাসা থাকলে ১০১ টাকা কাবিনে বিয়ে হতে পারে কিংবা ছেলের যা ক্ষমতা সেই অনুযায়ীও হতে পারে।
কেউ যদি ধর্ম অনুযায়ী বিয়ে করে তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আজকাল বিয়ের মধ্যে এই আর্থিক লেনদেন গলার কাটা হয়ে যাচ্ছে।
উপহারের নামে যৌতুক যেমন বৈধ হয়েছে ঠিক তেমনি সামাজিকতার নামে আজকাল সাধ্যের বাইরে কাবিনও বৈধ হয়ে গেছে।
মেয়ে যদি মনে করে,
কাবিনের টাকা বেশি হলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে তাহলে বিয়ে না করে বরং আয় রোজগার করার বিভিন্ন উপায় ভাবা উচিৎ ।
আর ছেলের যদি সামাজিকতা দেখানোর জন্য মেয়ে কে সাধ্যের বাইরে কাবিন দিয়ে বিয়ে করা লাগে,
তবে তার বিয়ে না করে আজীবন একা থাকাই ভাল।
ডাঃ দিপু মণি
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার


দীপুমনির সাথে সহমত। যারা কাবিনের টাকায় নিজেদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা আমার পক্ষ থেকে। সত্যিকার সামাজিক নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করলে বিয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে আগে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। যারা পরিবারের চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হয়, তাদেরকে আমি অনেক উদাহরণ দিতে পারব, কীভাবে মেয়েরা বিয়ের পরেও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উপায় বের করে নিয়েছে হাজার প্রতিকুলতার মধ্যেও। তবু, হয়তো কোনো না কোনো মেয়ের জন্য কাবিনের টাকা আসলেই দরকার হয়। আবার উল্টোটাও ঘটে সমাজে। আমার এক বন্ধুর কাছে শুনলাম, তার ডিভোর্সের পর কাবিনের টাকা দিয়ে তার প্রাক্তন বউ ইউরোপ ট্যুরে গেছিল। আমি আর বেচারাকে জিজ্ঞেস করি নাই, খবরটা শুনার পর তুই কোন লেভেলের শকে ছিলি, কয়দিনের শক ছিল। ওর কাবিনের টাকার অংক শুনে আমি নিজেই মেলাদিন শকে ছিলাম। বন্ধু আজ পর্যন্ত আরেকটা বিবাহের আশপাশ দিয়া যায় নাই। ডরে, বিতৃষ্ণায়, নাকি মনমতো কাউরে খুঁজে পায় নাই আল্লাহ ভালো জানেন। তবে কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো, বন্ধুর প্রাক্তন বউ আরেকটা বিবাহ করিয়াছে কীনা। এবং সামাজিক নিরাপত্তার নামে আমেরিকা ট্যুর দিতে কত টাকা কাবিন করিয়াছে দ্বিতীয় বিয়েতে। (অনুমান করিয়া নিলাম, দ্বিতীয় ডিভোর্সের পর আমেরিকায় ট্যুর দেবে। আর ইউরোপের তুলনায় আমেরিকার সাইজ বড়। সবগুলো স্টেটে একদিনের জন্য হলেও ঘুরে আসতে বিশাল বড় অংকের দরকার হবে...)
আমার এক ভাইয়ার বিয়ে শুধু দেনমোহরের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির জন্য ভেঙ্গে যায় । আমার ভাইয়ার বক্তব্য ছিল সে তার সাধ্য অনুযায়ী মেয়েকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা দিবে । আর মেয়ের বাড়ির লোকের কথা ছিল কাবিন ১০ লক্ষ করা চাই । তাদের নগদের কোন দরকার নাই । তাদের মেয়ের জন্য সিকুরিটি চাই । আমার ভাইয়া তাদের কথার উত্তরে বলছিল, আমি নবীর সুন্নত মেনে বিয়ে করবো । এজন্য দেনমোহরের টাকা আমি নগদ দিতে চাই । আর এই মূহুর্তে ৩লাখের উপরে দেয়া সম্ভব না । আর আমি যদি বউকে ৩ লক্ষ টাকা নগদ দিয়ে ঘরে আনতে পারি । আল্লাহ আমাকে বউ ছাড়ার জন্য ১০ টাকা দেয়ার সামর্থ্য দিবে ইংশাআল্লাহ । সম্পর্কটা টাকা বিবেচনা করে হয় না । আর সম্পর্ক গড়ার আগে যারা ভাঙ্গার চিন্তা করে তাদেন সাথে আমিও কোন সম্পর্কে জড়াতে চাই না। এইসব কথা কাটাকাটিতে বিয়ে ভেঙ্গে যায় । আলহামদুলিল্লাহ ! এরপর আমরা অনেক ভালো ফ্যামেলির একটা মেয়ে পেয়েছি । তাদের দেনমোহর নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা ছিল না ।
কাবিনে টাকা কখনোই কারো ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারেনা।সেটা যতো টাকাই হোক।আর একটা শিক্ষিত মেয়েকে তো কখনোই কাবিনের টাকায় ভবিষ্যৎ এর কথা ভাবা উচিৎ না।এতো টাকা কাবিন করে ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা মানে তো বিয়েটা কে নিয়েই অনিশ্চয়তায় ভোগা।ছেলে পক্ষ ও ধরে নেয় ডিভোর্স না হলে তো কাবিনের টাকা দাবী করবে না, আর মেয়ে পক্ষ ও ভাবে এখনই তো পরিশোধ করবে না তাই বাড়িয়ে ধরা হোক। অথচ ডিভোর্স এর সাথে কাবিনের টাকার কি সম্পর্ক? বিয়ে হওয়ার সাথে সাথেই এটা পরিশোধ করা যায়েয।
যাইহোক,মোটকথা হচ্ছে, আমাদের সমাজে ভাল মানুষেরা প্রতিনিয়ত বাঁশ
খায় । তা যৌতুক নিয়ে হোক বা দেনমোহর । বিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত জিতে যায় । আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক । আর সবাইকে সঠিক বুঝ বুঝার তৌফিক দান করেন ।
বিঃদ্রঃ দীপুমণির সাথে সহমত প্রকাশ করে নিজের মতামত দিলাম। কেউ অতি উৎসাহ দেখিয়ে কমেন্টে নিজস্ব মতামত দিতে চাইলে সাদর আমন্ত্রণ। তাই বলে ত্যানা প্যাঁচানো চলবে না। আগেভাগেই সতর্ক করে দিলাম। ধন্যবাদ।




Post a Comment

0 Comments