পর্ব---৪
জুনায়েদের মা দোরজা খুলে দেখে ফারজানা দাড়িয়েছে আর কান্না
করছে।
.
মা: ফারজানা তুমি এতো রাতে?
ফারজানা:.......
মা: কি হলো মা তুই যে কিছু না বলে কান্না করছিস?
ফারজানা: মা জুনায়েদের রুমে কি আমায় একটূ আশ্রয় দিবে?
মা: ভেতরে আয় মা।
ফারজানা: আগে বলো জুনায়েদের অস্থিত্বকে একটুখানি জায়গা দিবে নাকি?
মা: মা তুই ভেতরে আয় , তুই যে আমার কলিজার টুকরা।
.
জুনায়েদের মা কান্না করতে করতে ফারজানাকে জড়িয়ে ধরে। ফারজানা কে বাসার ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর জুনায়েদের মা জোরে চিল্লিয়ে সাথী আর জুনায়েদের বাবা কে ডাকে আর বলে দেখো জুনায়েদ এসেছে।
আর এই কথা শুনে জুনায়েদের বাবা বিছানা থেকে এক লাফে উঠে পড়ে।
তার মনে অন্য রকম এক অনুভুতি জাগে। আর সাথী শুনে ত অবাক হয়ে যায় এটা কিভাবে সম্ভব ?জুনায়েদকে ত সেখানেই সমাধি করে এসেছি।
.
তাই সাথী এক প্রকার ধুচমুচ করেই বিছানা থেকে উঠে বসার রুমে যায়
সাথে তার বাবাও আসে আর এসেই তিনি বলেন।
...
বাবা: কই আমার আব্বু কই ( কান্না করতে করতে)
সাথী: হ্যা মা তুমি কি বলছো
জুনায়েদ কই?
মা: এই যে দেখ জুনায়েদের জান আমার কাছে ( বলেই কান্না শুরু করে
দেয়)
.
জুনায়েদের বাবা ফারজানাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয় আর তার রাজকন্যার মতো ফারজানার কপালে চুম্মু একে দিয়ে বলে....
বাবা: মারে তুই আমাদের ছেড়ে কোন দিন যাবি না ত?
ফারজানা: নাহ বাবা আমি আর কোথাও যাবোনা সারা জীবন আপনার
ছেলের সৃতি নিয়েই এই বাড়িতে পড়ে থাকবো
।
বাবা: মারে তুই হয়তবা ভাবছিস জুনায়েদের সন্তানের জন্য এমন বলছি
আমরা। আমরা তোকে এই জন্য আমাদের সাথে থাকতে বলছি যে তুই থাকলে মনে হবে জুনায়েদ আমার পাশেই আছে
.
এই কথা ফারজানা শুনে হাউমাও করে আবার কান্না শুরু করে দেয়।
.
বাবা মেয়ের কান্না দেখে সাথী আর তার মাও অঝর নয়নে কান্না শুরু করে
দেয়।এই যেনো এক ভালোবাসার অসিম মূর্হত্ব
।
কিছুক্ষন পরে.
.
সাথী: লিপ্তি তুই কি খেয়েছিস কিছু?
ফারজানা: আমাকে এই নামে ডাকিস না প্লিজ।
সাথী: ওকে। কিন্তু কিছু ত মনে হয় মুখে তুলিস নাই।
ফারজানা: নাহ আমি খেয়েছি তো।
সাথী: তাহলে অমন লাগছে কেন?
ফারজানা: ধুর এমন লাগবে কেন?
সাথী: বসে থাক আমি খাবার নিয়ে আসছি।
..
সাথী রান্না ঘরে চলে যাওয়ার পরে জুনায়েদের রুমে ঘুরে ঘুরে দেখে আর
কান্না করে। কারন ঘরের দেওয়ালে শুধু ফারজানার ছবি আর ফারজানার নাম হাজারো জাগায় লিখা।
.
আর এই দিকে সাথী ত রান্না ঘরে গিয়ে অবাক কারন মা রান্না করছে
আর বাবা বার বার বলছে ভালো করে রান্না করো আর এটা দাও ওটা দাও।
.
সাথী: আম্মু তোমরা এখানে কি করছো.?
মা: ফারজানার জন্য খাবার রান্না করছি।
সাথী: খাবার ফ্রিজেই আছেই তাই না।
মা: তুই কোন দিন দেখেছিস জুনায়েদ ঠান্ডা খাবার খেয়েছে আর রাতে
পুটি মাছের ভর্তা ছাড়া?
সাথী: নাহ কিন্তু জুনায়েদ কে ত আব্বু খাইয়ে দিতো।
বাবা: হুম আজকেও ফারজানা কে আমিই খাইয়ে দিবো।
সাথী: ওহ আচ্ছা। রান্না কত দূর মা।
মা: এই ত হয়ে গেছে মেয়েটা মনে হয় সারা দিন কিছু খায়নি।
বাবা: তুমি তাড়াতাড়ি রান্না করতো।
মা: আর ২ মিনিট।
সাথী: হুম আমি গেলাম তোমরা আসো।
বাবা: হুম।
.
রান্না ঘর থেকে সাথী চলে যায় আর গিয়ে দেখে জুনায়েদের জামা
কাপড় ধরে কান্না করছে। সাথী ফারজানা কে শান্ত করে বসিয়ে দেয় যেনো আর কান্না না করে।
.
ফারজানা ত রুমের দিকে তাকিয়ে অবাক বাবা খাবার নিয়ে রুমে
আসছে। বাবা কাছে এসে ফারজানা কে বলে...
।
বাবা: নে মা হা কর খাবার টা খেয়ে নে।
ফারজানা: আপনি কেনো কষ্ট করবেন আমি নিজেই খেয়ে নিচ্ছি।
বাবা: জুনায়েদ যে এতো বড় হয়েছিলো তাও প্রতিদিন আমার হাতে ছাড়া ভাত খেতো না রাতে। ওর মার হাতে খেতনা শুধু আমাকেই খাইয়ে দেওয়া লাগতো।
ফারজানা: বাবা আমি খাবো আপনি খাইয়ে দেন।
.
বাবা মেয়েকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে আর মাঝে মধ্যে মাঝের কাটাও বেছে দিচ্ছে।
একটু পর ফারজানাও বাবার মুখে খাবার তুলে দেয়।
বাবা মেয়ে দুজন দুজনাকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে আর অঝর নয়নে কান্না করছে।
।
আর এই মূর্হত্বের সাক্ষী হচ্ছে পাশে বসা মা আর মেয়ে।
।
ভাবতেই অবাক লাগছে এতো বড় মেয়েকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে। বাবার কাছে মেয়ে কোন দিন বড় হয়না।
.
এভাবেই চলছে বাবা মেয়ের ভালোবাসা। ফারজানা কলেজের চাকরি ছেড়ে
দিয়েছে এখন রুমে বসেই মার সাথে গল্প করে কাটায়।
আর সাথী চাকরি টা করছে।
.
ইদানীং ফারজানা লক্ষ্য করছে সাথী ফোনে কার সাথে অনেক্ষন কথা বলে।
ইদানীং কথা বেড়েই চলছে ফারজানা কিছু বললে এড়িয়ে যায় তাই ফারজানা ভাবে হয়তবা তার ভালোবাসার মানুষ।
.
এভাবেই চলছে ফারজানার জীবন মা বাবার শাসন আর আদর। আর প্রিয়
বান্ধবির সাথে খুনসুটি।
।
এভাবে দেখতে অনেক সময় পেরিয়ে যায় সময় হয়ে আসে জুনায়েদের
অস্তিত্ব পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে।
.
হুম আজকে ফারজানা আর জুনায়েদের সন্তান হয়েছে। সবাই অনেক খুশি আরো
বেশি খুশি কারন ফারজানার যমজ সন্তান হয়েছে। একটা ছেলে ও মেয়ে সন্তান।
সবাই খুশি হলেও ফারজানা খুশি না কারন জুনায়েদের কথা যে খুব মনে পড়ছে।
.
ফারজানার কোলে তার সন্তান কে দেওয়া হলো কিন্তু ফারজানা নিতে
চাইনা কারন জানতে চাইলে বলে যে আমাদের সন্তান কে ত জুনায়েদ আমার
আগে দেখিতে চাইছিলো। সবাই বুঝতে পারে। ফারজানাকে বুঝিয়ে ফারজানার
বুকের ওপর সন্তান কে দেওয়া হলো আর ফারজানা অঝর নয়নে কান্না করতে
থাকে। ফারজানা তাদের নামও ঠিক করে।
.
মেয়ের নাম মারিয়া আর ছেলের নাম মূসা ইব্রাহিম।
.
ফারজানা তার সন্তান কে আদর করছে আর কান্না করেই যাচ্ছে এখনো।
.
এমন সময় সাথীর ফোনে ফোন আসে।
কে ফোন দিয়েছে জানতে চাইলে বলে সিঙ্গাপুর থেকে ফোন এসেছে।
.
সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে সাথীর দিকে....
--------------------------------
সবাই ভাবছে কি হয়েছ সাথী এমন ভাবে মন খারাপ করে আছে কেনো?
।
সাথীর মা জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে কিন্তু সাথী কিছুই বলেনা।
শেষে ফারজানার জোড়াজুরিতে সাথী বলে যে কালকেই সিঙ্গাপুরে
যেতে হবে কিন্তু কেনো সেটা বলেনা। বলে যে জুনায়েদের কিছু জামা কাপড়
আছে আর ঐ দেশের সরকার নাকি কি একটা সনদ দিবে।
।
এই দিকে ফারজানা কান্না করে যাচ্ছে জুনায়েদ থাকলে কত খুশি হতো
আজকে । ফারজানার বেবি দুটো একদম কিউট হয়েছে যে কেউ দেখলেই পাপ্পি
দিতে চাইবে।
.
ফারজানা আর বেবিকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হলো।
।
জুনায়েদের আব্বু আম্মু অনেক খুশি কারন বুড়ো বয়সে তাদের খেলার সাথি
হয়েছে।পরের দিন সাথী চলে যায় তার ভাইয়ের কাছে সৃতিটুকো আনতে।
.
ফারজানার টুইন বেবি হয়েছে এই খবর শুনে আর ফারজানার বাবা রাগ করে
থাকতে পারে নাই। নাতি নাতনী কে দেখতে পুরা বাজার মাথায় করে নিয়ে এসেছে
।
ছোট বাবুদের জন্য অনেক অনেক ড্রেস নিয়ে এসেছে আর বাড়ি সবার জন্যও
নিয়ে এসেছে। ফারজানার কাছে তিনি তার ভুলের জন্য ক্ষমা চান। ফারজানা তার
বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে, ফারজানার বাবাও কান্না করে।
ফারজানার বাবা ত নাতি নাতনী কে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছে না। মনে
হচ্ছে তিনিই এখন ছোট বাচ্ছা হয়ে গেছেন।
ফারজানা দেখে ত খিল খিল করে হাসে। আর এই দিকে ত সিঙ্গাপুরে ঘটছে
অন্যরকম কাহিনী ।
.
সাথী ওখানে পোছানার পর এমন একটা কথা শুনলো যা শুনে কান্না ছাড়া আর
আল্লাহুকে ডাকা ছাড়া উপাই নেই।
.
জুনায়েদকে বাছাতে হলে একটা কিডনী লাগবে।
.
( জুনায়েদ বেচে আছে। অপারেশন করার আগেই জুনায়েদ বলেছিলো
আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে যেনো আমাকে এখানেই রাখা হয় আর
যদি বেচে যায় তাও জেনো বাসার সবাই জানে আমি মারা গেছি। অপারেশন করার পর জুনায়েদ বেচে গেছিলো কিন্তু একদম কোমায় চলে গেছিলো ডাক্তার বলেছিলো কবে সুস্থ হবে ঠিক নেই। সাথী দেশে আশার পরে নিয়মিত ফোনে কার সাথে কথা বলতো আর ফারজানা সন্দেহ করতো ?আসলে সে ডাক্তার সাথে কথা বলতো তার ভাইয়ের খবর নেওয়ার জন্য। আর ভাইকে দেখার জন্য একজন র্নাস রেখে দিয়েছিলো)
.
সাথী: আপনি এই সব কি বলছেন?
ডাক্তার: ঠিকি বলছি আপনার ভাইয়ের একটা কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।
সাথী: কিন্তু কিভাবে এমন হলো?
ডাক্তার: অতিরিক্ত নেশা জাতিয় পানি পান করার কারনে।
সাথী: তাহলে কিডনির ব্যবস্থা করুন যতো টাকা লাগবে আমি দিবো।
ডাক্তার: সরি আমরা অনেক খোজ করেছি কিন্তু কোথায় পাইনি এমন
ধরনের কিডনি।
সাথী: মানে?
ডাক্তার: আপনার ভাইয়ের রক্তের গ্রুপ আরো অনেক কিছুই মিল খাইনি তাই
কিছু করতে পারি নাই।
সাথী: আমার কিডনি নিয়ে আমার ভাইকে ঠিক করে দিন প্লিজ।
ডাক্তার: আপনার রক্তের গ্রুপ কি আর আপনার সাথে সব কিছু মিলে গেলে
আমরা চেষ্টা করব।
সাথী: এ পজেটিভ।
ডাক্তার; সরি আপনার ভাইয়ের রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ।
.
এমন কথা শুনে সাথী জুনায়েদ কে ধরে কান্না করে আর জুনায়েদ শুধু নিরব
র্দশকের মতো দেখছে তার বোন তার জন্য কান্না করছে।
.
.
কিছুক্ষন পরে পাশে থাকা র্নাস টা যেনো ডাক্তার কে কিছু একটা বলছে
ইশারাই। মনে হয় মেয়েটা বোবা তাই এমন করছে।
.
ইশারাই কোথা হওয়ার পরে ডাক্তার জোরে জোরে মেয়েটাকে বলছে তুই কি পাগল হয়ে গেছি তোর একটা কিডনি দিলে তুই মারা যাবি। তখনি মেয়েটা ডাক্তারের পা চেপে কান্না করে আর ইশারাই যেনো কি বলে।
তখন সাথী ডাক্তার কে বলে কি হয়েছে?
ডাক্তার বলে এই যে মেয়েটা দেখছেন এর নাম নিদ্রা, আমার আদরের ছোট বোন।
মা বাবা আমাদের ছোট থাকতেই এক্সিডেন্টে মারা গেছে। আমরা ছোট কাল থেকে এখানে মানুষ হয়েছি। কষ্ট করে পড়াশুনা করে ডাক্তার হয়েছি আর বাবার যতো টাকা ছিলো তা দিয়ে হাসপাতাল করেছি তবে সিঙ্গাপুর সরকারেও অনেক অবদান
আছে। আমার রেজাল্ট ছিলো সিঙ্গাপুরের সব চেয়ে বেশি র্মাক পাওয়া রেজাল্ট, তাই এদেশের সরকার আমাকে পুরুষকার দেওয়ার জন্য ডেকেছিলো তখনি হাসপাতাল আবদার করে বসি। উনি খুশি হয়ে সাহায্য করেন। আর আমার বোন টা কোনো র্নাস না ওর খুশিতেই হাসপাতালে র্নাস হয়ে থাকে। ও এতোক্ষন কান্না করছিল কারন আপনার ভাইয়ের রক্তের গ্রুপ আরো কিছু সব নিদ্রার সাথে মিল আছে আর ও চাই ওর কিডনি যেনো আপনার ভাইকে দেওয়া হয়। আর এতো আপনার ভাইকে সেবা করতে করতে মনে হয় মায়া জমে গেছে। ও একটানা ১০ দিন বাড়ি যায়নি আপনার ভাই সুস্থ না বলে। মাঝে মধ্যে ত দেখি আপনার ভাই আর নিদ্রা হাসাহাসি করে। যদিও নিদ্রা কথা বলতে পারেনা কিন্তু আপনার ভাই ঠিকি বুঝে কি বলতে চাইছে।
.
এই কথাগুলো শুনে সাথী নিদ্রার পা ধরে কান্না করে আর বলে আপু তুমি
আমার ভাইকে বাচাও তুমি যা চাইবে তাই পাবে।
.
ডাক্তার: আপনার ভাইকে নিদ্রা কে বিয়ে করতে হবে আর বিয়ের পর ৫ বছর
এখানে থাকা লাগবে।
সাথী: আপনি ত জানেন জুনায়েদের বিয়ে হয়ে গেছে ২ টা ছেলে মেয়েও আছে আর ৫ বছর কেনো থাকবে?
ডাক্তার: জানি কিন্তু কেউ যদি শোনে আমার বোনের একটা কিডনি নেই কেউ কি বিয়ে করবে আর অপরেশন করার পর ঠিক হতে প্রায় ১ বছর লাগবে আর আমি চাই আপনার ভাই যেনো নিদ্রাকে বিয়ে করে ওকে ভালোবাসে তাই একসাথে আরো ৪বছর থাকবে।
সাথী: এটা বেশি হয়ে যাচ্ছে না?
ডাক্তার: এটা ছাড়া আমার কিছু করার নেই।
জুনায়েদের থেকে অনুমতি নেয়,জুনায়েদ হ্যা বলে। রাতেই নিদ্রার আর জুনায়েদের বিয়ে হয়ে যায়। তাদের বিয়ের কোনো বাসর হয়নি,হয়েছে অপরেশন।
অপারেশন সফল ভাবে শেষ হয় আর কিছু দিন থেকে ভাইকে বিদায় জানিয়ে
দেশে ফিরে আশে। জুনায়েদ অনেক কান্না করে আর ফারজানার কথা বলে।
জুনায়েদের যে ছেলে মেয়ে হয়ছে তা গোপন রাখা হয়। নিদ্রা আর নিদ্রার ভাইকেও মানা করা হয় যেনো না বলে, ছেলে মেয়ের কথা বললে আর এখানে থাকবেনা।
.
ফারজানা দেশে চলে আসে
।
বাড়িতে আসার পরে ফারজানা আর বাবা মা জানতে চাই এতো কি করছিলো ওখানে? সাথী খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে বলে কিছু কথা।
..
এই কয় দিনে ফারজানা পুরা রুমে জুনায়েদের ছবি লাগিয়েছে মনে হচ্ছে পুরা রুম জুনায়েদময়।
.
কিছু দিন পর।।
.
সাথী: ফারজানা আমি যদি তোর ভালোর জন্য কোনো ভুল করি আমায় কি
মাফ করে দিবি?
ফারজানা: ধুর তুই কি বলিস তুই ত যা করবি আমার ভালোর জন্যেই করবি।
সাথী: খুব কষ্ট হচ্ছে জুনায়েদের জন্য,তাই না?
ফারজানা: হুম অনেক।
.
সাথী কে জড়িয়ে ধরে ফারজানা কান্না করে সাথীও নিজেকে ঠিক
রাখতে পারেনা।
.
এভাবেই চলছে ফারজানার জীবন
.
আর ওই দিকে জুনায়েদ এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছে আর নিদ্রার সাথে
প্রতি দিন ফারজানার গল্প করে আর নিদ্রা তা গভির আগ্রহে শুনে।
জুনায়েদ নিদ্রাকেও ভালোবেসে ফেলেছে
।
দেখতে ৪ বছর চলে গেলো ফারজানার জীবন থেকে মারিয়া মুসা এখন অনেক
কথা বলতে পারে। দেওয়ালে টাঙ্গানো জুনায়েদের ছবি কে জানতে চাইলে ফারজানা
বলে উনি তোমার আব্বু।
তারা জানতে চাই আব্বু কোথায়
ফারজানা বলে তোমার আব্বু তারার দেশে গেছে সময় হলে চলে আসবে।
মারিয়া মূসাও সেই আশায় বসে আছে।
.
৫ বছর পর..
.
আজকে ফারজানা আর মারিয়া মূসা মার্কেটে গেছে কারন মারিয়া আর
মূসা কাল থেকে স্কুলে যাবে তাই বই খাতা কিনতে এসেছে।
.
মারিয়া জোরে চিল্লিয়ে বলে।
.
মারিয়া:- আব্বু ,আমার সোনা আব্বুউউউউউউইউ...............।
.....
.........(চলবে )...........
0 Comments
Thanks for your valuable comment. We will be back soon.
Thank you 😊😊😊