golpo-ghar.blogspot.com |
গত পর্বের লিংকঃ একমুঠো নীল জোসনা
পর্ব-৪
নাকের রক্ত মুছতে মুছতে মায়ার উপরের ঠোঁটে এক আঙ্গুল দিয়ে হাল্কা স্লাইড করতেই চমকে উঠেলো মায়া।।।
অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইলমাজ মায়ার দিকে।।।সেটা লক্ষ করতেই মায়া ইলমাজ থেকে দূরে সরে দাঁড়ালো।
বুঝতে পেরে হাল্কা গলা ঝেড়ে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসলো ইলমাজ।।
are u Alright now?(ইলমাজ)
জ্বী,,,i am fine..(মায়া)
দাঁড়িয়ে আছেন কেন?কিছুক্ষন মায়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর জিজ্ঞেস করলো ইলমাজ।।
মানে?(মায়া)
বাংলা ভাষায় বলছি আমি।আপনি তো চলে যাচ্ছিলেন ? আর এখন না গিয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?(ইলমাজ)
শখ নেই দাঁড়িয়ে থাকার😤আমি চলেই যাচ্ছিলাম কিন্তু আপনি।।।😤(মায়া)
আমি কি?খুব নরম স্বরে জিজ্ঞেস করলো ইলমাজ।।
আপনি আমার ঠোঁ,,,,,,😣(মায়া)
আমি তোমার কি?চেয়ার থেকে উঠে মায়ার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বললো ইলমাজ।।
ইলমাজ যতই মায়ার দিকে এগিয়ে আসছে ততই মায়ার হৃদস্পন্দন ক্রমশ বেড়েই চলছে আর মিনিট পর পর ঢোক গিলছে।।।।
বললে না যে আমি তোমার কি বলতে চেয়েছিলে?নেশাকাতর চাহনিতে তাকিয়ে আছে ইলমাজ মায়ার দিকে।
স্যার আপনি এদিকে এগিয়ে আসছেন কেন?আমি তো বলছিলাম আপনি আমার ঠোঁট ছুয়েছেন কেন?চোখ বন্ধ করে ভ্রু কুচকে একনাগার বলে ফেললো মায়া।😖
ইলমাজ মায়ার একদম কাছে এসে দাঁড়ালো।।
আমি তোমার ঠোঁট ছুয়েছি কেন তাই জিজ্ঞেস করছিলে?(ইলমাজ)
,,,,,,,,,,মায়া চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।।
তোমার ঠোঁটে অনেক মায়া,,তাতে যে কেউ এটরেক্ট হবে,খুবি নেশাভরা কন্ঠে বলল ইলমাজ।
ইলমাজ এর কথা শুনে ৪৪০ ভোল্ট এর টাস্কি খেয়ে চোখ উল্টে তাকিয়ে আছে মায়া ইলমাজ এর দিকে।।।
ইলমাজ মায়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকার পর কুটকুটিয়ে হেসে উঠলো।।ইলমাজ এর এমন হাসিতে বেকুব বনে গেলো মায়া।।
তুমি কি ভেবেছিলে?তোমাকে আমি এইসব বলবো? হহাহাহাহাহা।।যদি প্রশ্ন করো ঠোঁট ছুয়েছি কেন তাহলে বলবো ঠোঁটে তোমার ব্লাড লেগেছিলো, এমনিতে দেখতে তুমি পেত্নির মতো তার উপর ওভাবে রক্ত লেগে থাকাতে তোমাকে লেডি ভ্যাম্পায়ারের লাস্ট ভার্সন এর মতো লাগছিলো তাই নাপারতে আমাকে তোমার ঠোঁট ছুতে হয়েছে।।তা নাহলে আমার চয়েস ওতো খারাপ না।।একটা ভ্রু উপরে তুলে বললো ইলমাজ।
মায়া রেগে লাল টমেটো হয়ে আছে পারছে না যে ইলমাজের কতল করতে।।
ভ্যাম্পায়ারের লাস্ট ভার্সনের উপাধি যেহেতু পেয়েছি ইচ্ছা তো করছে সবার আগে আপনার রক্ত সব চুষে খেতে।।মনে মনে বলছে মায়া।।
বেশখ,,আমার রক্ত চোষার কথাই ভাবছেন তাই না? (ইলমাজ)
আবারো ৮৮০ ভোল্টের ঝটকা খেয়ে কাত হয়ে আছে মায়া।।রাগে হাতে হাত ঘষছে আর নাক ফুলিয়ে দাঁতে দাঁত খিলিয়ে ফুসছে।।
আর কিছু বলবেন নাকি আমার কাছ থেকে যেতেই ইচ্ছে করছে না আপনার??বাকা হেসে বললো ইলমাজ।।
গভীর নিঃশ্বাস ছেড়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে মায়া।।মুখ ভেংচি দিয়ে রাগে হন হন করতে করতে ইলমাজ এর ক্যাবিন থেকে বেরিয়ে গেলো মায়া।।
ইলমাজ নিজের কপালে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে দরজার দিকে তাকিয়ে হাসছে।আর মায়ার ঠোঁট ছোয়ার কথা ভাবছে।।😌😁
এদিকে মায়া এনির ক্যাবিনে গিয়ে রাগে ফুসতে ফুসতে চা খাচ্ছে আর ইলমাজ এর চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে।।
হনুমান কি ভাবে নিজেকে?😠মিস্টার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড??নাকি হলিউডের টম ক্রুস??কি বলছিলো আমাকে???আমি লেডি ভ্যাম্পায়ারের লাস্ট ভার্সন??যদি আমি তাই হয় তবে আপনিও বাংলা সিনেমার ভিলেন ডিপজল এর লাস্ট ভার্সন ।।😡
ডিপজলের নাম নিতেই স্তব্ধ হয়ে গেলো মায়া।।
না না,,ডিপজল তো কাইল্লা ভুত।।হনুমান তো কাইল্লা না।।এটা আগে ভাবি নি কেন??যায় হোক কাইল্লা না হলেও হনুমান আমার জীবনের খলনায়ক জিন্দেগী ত্যানা ত্যানা করে ফেলেছে আমার।।😭নিজে নিজেই বলছে মায়া।।
এনির ক্যাবিনের বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিলো ইলমাজ আর এনি।।মায়ার কথা শুনে এনির প্রায় অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা আর ইলমাজ মুখে হাত দিয়ে চাপা হাসছে।।এনি ইলমাজ এর দিকে চোখ বড় করে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভয়ের হাসি হাসছে।।
ইলমাজ ইশারায় এনিকে চুপ থাকার জন্য ইঙ্গিত করে তার ক্যাবিনে ফিরে গেলো।। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে ইলমাজ।।এনির সামনে থেকে সড়ে এসে হাসি লুকানোর চেষ্টা করছিলো ইলমাজ।।।
ইলমাজের পিছু পিছু এনিও তার ক্যাবিনের দিকে দৌড় দিলো।।এনিকে ক্যাবিনে আসতে দেখে ইলমাজ হাসি বন্ধ করে ফাইল হাতে নিয়ে চেক করতে লাগলো।।
কিছু বলবে এনি?গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো ইলমাজ।
না স্যার মানে বলছিলাম কি মিটিং এর কথা না বলেই চলে এলেন যে?ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো এনি।
হ্যাঁ মিটিং এর টাইম কাল সন্ধ্যায় ফিক্সড করে দাও আর অফিসের বাকি প্রেজেন্টেশগুলো তুমি হ্যান্ডেল করবে।।(ইলমাজ)
তাহলে স্যার মিটিংয়ে আপনি একা যাবেন?(এনি)
না,মিস মায়া কে জানিয়ে দিন কাল সন্ধ্যার ফ্লাইটে আমাদের সিলেট এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হতে হবে।।(ইলমাজ)
কিন্তু স্যার যাওয়ার কথা তো ছিলো আমার।বিষ্মিত হয়ে বললো এনি।
ইদানীং খুব বেশি মুখ চলছে তোমার।। চোখ রাঙ্গিয়ে তাকালো এনির দিকে।।
ইলমাজের এমন চাহনি বিপদের সংকেত বুঝতে পেরে এনি ভয়ে চুপসে গেছে।।
আদার্স স্টাফ আমাদের নতুন ডিল নিয়ে ব্যাস্ত,তাৎক্ষনাক তার প্রেজেন্টেশন রেডী করতে হবে আগামী ৩ দিনের মধ্যে।আর তুমি যদি আমার সাথে আসো তবে আমার ফিরতে ২ দিন লাগবে তার মানে একদিনের মধ্যে প্রেজেন্টেশন রেডী করা সম্ভব না,,আর অসম্ভব কে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের কাজ তোমার না।,সো বাকি আছেন আমাদের অতি পরিশ্রমী ম্যাডাম মিস মায়া,,তার আশায় যদি কোন ইম্পরট্যান্ট কাজ পেন্ডিংয়ে রাখা হয় তবে নিশ্চিত আমার কোম্পানি গোল্লায় যেতে কেউ থামাতে পারবে না।আর যদি তুমি না পারো তবে সমস্যা নেই,স্যালারি দিলে এমপ্লয়ের অভাব নেই।।চাইলে বলতে পারো।।ভ্রু কুচকে বললো ইলমাজ।।
না স্যার,আমি তা বোঝায় নি,মানে আমি তো আছি স্যার,সমস্যা নেই আমি নিউ প্রেজেন্টেশন রেডী করার জন্য নিজের জান ও দিয়ে দিবো।।ভয়ে ঢোক গিলতে গিলতে বললো এনি।
জান দেয়ার দরকার নেই,এ্যাফোর্ড আর হার্ডওয়ার্ক দিলেই হবে।।😒(ইলমাজ)
জ্বী স্যার।।(এনি)
এভাবে মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে না থেকে যা বলেছি তা সেড়ে নাও।।কাজে গাফিলতি আর ধীরগতি আমার একদম অপছন্দ।।সেটা কি আর বলতে হবে?(ইলমাজ)
না,স্যার,আমি এক্ষুনি গিয়ে মায়াকে বলে দিচ্ছি যেনো রেডী থাকে।।(এনি)
তুমি এখনো দাঁড়িয়ে কথা বলছো,রক্ত রাঙ্গা চোখে এনির দিকে তাকালো ইলমাজ।।
আর কথা না বাড়িয়ে সোজা সেখান থেকে কেটে পড়লো এনি।
স্যার বলেছে আগামীকাল সন্ধ্যায় মিটিং এর জন্য সিলেট এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে হবে।(এনি)
তো আমি কি করবো?😐(মায়া)
তোমাকে স্যারের সাথে যেতে হবে।(এনি)
চা খাওয়ার সময় নাক মুখ থেকে চা বের হয়ে কাশতে শুরু করলো মায়া।।বেশ কিছুক্ষন কাশার পর থামলো মায়া।
কিন্তু আমি কেন?ন্যাকা কান্না করে জিজ্ঞেস করলো সে।
সেটা স্যার জানে।😒আমি কি করে বলবো। (এনি)
কান্নামাখা মুখ বানিয়ে সোজা ইলমাজ এর ক্যাবিনে গেলো মায়া।
স্যার আসবো? (মায়া)
জ্বী আসুন।(ইলমাজ)
ইলমাজ এর টেবিলের সামনে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে মায়া।।।
কিছু বলবেন?নাকি শুধু আমার ক্যাবিনে আসার বাহানা খুজতে থাকেন?বাকা হেসে বললো ইলমাজ।
আ,,আমি কেন বাহানা খুজবো হুদাই।।একটা কথা জিজ্ঞেস করতে এসেছিলাম।।(মায়া)
জ্বী বলে ফেলুন।কান খোলা আছে আমার।।(ইলমাজ)
আমাকে কি আপনার সাথে সিলেট যেতে বলেছেন?(মায়া)
জ্বী আপনার সাথে হানিমুন করার শখ জেগেছে তো তাই।।😏(ইলমাজ)
মায়ার রাগ চরম পর্যায়ে।।সে পারছে না ইলমাজকে জিন্দা দাফন করতে।।😤।
-------------------
নিজের ঘরের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাহিরের মেঘলা আকাশ দেখছে মায়া৷।।
ইলমাজ এর ওভাবে তার ঠোঁট ছোয়ানো টা কে ঠিক স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারছে না মায়া।।ওই কথা মনে পড়লেই কেন জানি মায়ার হার্টবিট বাড়তেই থাকে৷
ওয়াহ!!!আজকে কি চাঁদ দক্ষিণে উঠেছে?(মায়ার ভাই)
তার ভাইয়ের ডাকে ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে ফিরে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তার ভাইয়ের দিকে তাকালো মায়া।
আজকে চায়ের ফ্লাস্ক কোথায়? চমকে জিজ্ঞেস করলো মায়ার ভাই।
আজকে ভাল্লাগছে না তাই খাচ্ছি না,আর আমি খাই না খাই তোমার কি?(মায়া)
তাই তো বললাম,চাঁদ কি আজকে দক্ষিণে উঠেছে।।(মায়ার ভাই)
ভাইয়ের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আছে মায়া।
সন্ধ্যা হতেই সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো ইলমাজ আর মায়া।
ইলাজ কার ড্রাইভ করছে,আর বার বার মায়া ইলমাজের দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে।।
কি হলো বার বার আড়চোখে তাকাচ্ছেন??কাইল্লার পদ চেঞ্জ করেছেন নাকি?(ইলমাজ)
ম,,,ম,,মানে কি স্যার?আমি কেন আপনার দিকে তাকাবো হুদাই।।😒(মায়া)
ওয়েল,,কুনজর থেকে বাঁচলাম।।(ইলমাজ)
কোন জবাব না দিয়ে মায়া জানালার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো।।
ইলামাজ মায়ার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বেশ করে দেখে হাল্কা মুচকি হাসি দিয়ে আবারও ড্রাইভিংয়ে মনযোগ দিলো।।
এয়ারপোর্টে৷ এসে গাড়ি থামলো।।মায়া এখনো বসে আছে দেখে ভ্রু কুচকালো ইলমাজ।
সিলেট কি কারে বসেই পাড়ি দিবেন নাকি নামবেন ও বটে?(ইলমাজ)
কিছু না বলে ব্যাগ নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে একপাশ হয়ে দাঁড়ালো মায়া।
ইলমাজ হাটতে শুরু করলো আর তার পিছু পিছু মায়াও যেতে শুরু করলো।।বার বার আড়চোখে তাকাচ্ছে মায়া ইলমাজের দিকে।
লোক টা এতো লম্বা কেন?😑দেখতে আসলে হলিউডের টম ক্রুজ থেকে কম না,বেশ সুদর্শন,স্মার্ট, হ্যান্ডসাম,হট😣সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে আছে।।ছিঃ কি ভাবছি এগুলো? মনে মনে বললো মায়া।
চলুন ম্যাম,এভাবে বসে থাকলে তো আমাদের ফ্লাইট মিস হয়ে যাবে।।তাই না?(ইলমাজ)
জ্বী স্যার।।(মায়া)
প্লেনে উঠে ইলমাজকে ফলো করে এগুচ্ছে।।ইলমাজ যততত্র ভিতরের দিকে যেতেই আছে।।
এই লোক টা এতোগুলো সীট ফেলে যাচ্ছে কোথায়? একটা তেও বসছে না আজিব!😤মনে মনে বলছে মায়া।
স্যার,স্যার,স্যার।।অস্থির হয়ে ইলমাজকে ডাক দিলো মায়া।
ফিরে তাকালো ইলমাজ।।
কি হলো এভাবে চেচাচ্ছো কেন?(ইলমাজ)
সীট তো সব ফেলে চলে যাচ্ছেন বসবেন কোথায়? বাথরুমে? 😒(মায়া)
চুপচাপ আসো,বেশি কথা বলা আমার একদম অপছন্দ😡রেগে আগুন হয়ে বললো ইলমাজ।
কিন্তু স্যার সীটে যদি সবাই বসে যায়?আমরা যদি সীট না পাই?।(মায়া)
নাক মুখ ফুলিয়ে রেখেছে ইলমাজ।
এটা তোমার লোকাল বাস না যে সীটে যে যার মতো এসে বসে যাবে।😡(ইলমাজ)
তাহলে এখানে বসছেন না যে?(মায়া)
এগুলো জেনারেল এন্ড ইকোনোমি ক্লাস।। আর আমাদের বুকিং হচ্ছে বিজনেস ক্লাস।সো জাস্ট স্টপ ননসেন্স।।😠(ইলমাজ)
ওহ,,সরি স্যার।।(মায়া)
ইলমাজ আগে মায়াকে বসালো তারপর নিজে এসে পাশে বসলো।।
প্লেন স্টার্ট হতেই স্বজোরে চিৎকার করে উঠলো মায়া।।
কি হলো এভাবে চিৎকার করছো কেন আজিব?(ইলমাজ)
স্যার,আমার খুব ভয় করছে,আমি আগে কখনো প্লেনে উঠি নি😭।মায়া চেচাচ্ছে আর কান্না করছে।
এই মেয়ে চুপ একদম,সবাই তাকিয়ে আছে।(ইলমাজ)
স্যার আমি নেমে যাবো,আমার মাথা যাচ্ছে�,
খুব বেশি উচ্চতায় আমার ভয় লাগে(মায়া)
মায়ার মাথা টেনে নিজের কাঁধে রাখলো ইলমাজ।।
এভাবে থাকো,আধা ঘন্টা পর ল্যান্ড করবো আমরা,ততক্ষন আমার কাঁধে মাথা রেখে রিল্যাক্স থাকো।।(ইলমাজ)
ইলমাজ এর কাঁধে মাথা রেখে চুপচাপ হয়ে আছে মায়া।ইলমাজ আড়চোখে তাকিয়ে আছে মায়ার দিকে আর মুচকি হাসছে।।
মায়ার চুল মুখে পড়তেই আলতো হাতে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে আবার সংকোচবোধ করছে ইলমাজ ডাকতে চাইছে কিন্তু ইচ্ছে করছে না ডাকার।
মায়ার দিকে বেশ কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো ইলমাজ।।
হলুদ রঙের লং ড্রেসটা যেন এই মেয়ের ধবধবে ফর্সা শরীর কে আরও ফুটিয়ে তুলেছে।নামের সাথে চেহাহার স্বার্থকতা যেন সদৃশ্যমান।।সেদিন এতো কথা শুনানির পরও তাকে একটা কড়া কথা পর্যন্ত বলতে মন সাক্ষী দেয় নি,আর তার কারন হলো এই চরমপর্যায়ের মায়া,যা তার গরম চায়ের ছিটায় বুকে বিন্দু মাত্রাও আঘাত অনুভব করায় নি।।
ইলমাজ ভাবছে আর অপলক তাকিয়ে দেখছে আর মুচকি হেসে মায়ার মুখ থেকে আলতো করে চুল সরিয়ে তার মাথার সাথে হাল্কা নাক লাগিয়ে চুলের ঘ্রান নিচ্ছে।
মায়ার ঘুম ভাঙ্গতেই গলা ঝেড়ে নড়েচড়ে বসলো ইলমাজ।
নিজেকে এভাবে ইলমাজের কাঁধে দেখে ইতস্তবোধ করছে মায়া।
সরি স্যার,কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারি নি।।(মায়া)
ঠিক আছো?(ইলমাজ)
জ্বী।।আমরা পৌছায় নি এখনো? (মায়া)
হ্যাঁ পৌছেছি,শুধু ল্যান্ড করার বাকি।(ইলমাজ)
স্যার আমরা এখন কোথায় যাবো? (মায়া)
নৌকা চালাতে,,যাবে?😒(ইলমাজ)
হ্যাঁ হ্যাঁ ওই নৌকায় আপনি ডুইব্বা মইরা যাইয়েন,অন্তত আমি তো শান্তি পাইতাম।।😤মনে মনে বলছে মায়া।।
মায়ার চেহারার এক্সপ্রেশন দেখে ইলমাজের হাসি বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম।।
.....
.........(চলবে )...........
0 Comments
Thanks for your valuable comment. We will be back soon.
Thank you 😊😊😊