পিন কোড

Ads Inside Post

পিন কোড


golpo-ghar.blogspot.com
golpo-ghar.blogspot.com


পঞ্চম পর্বের লিংকঃ পিন কোড

#পর্ব-৬

একটা বাইকে আমরা তিনজন বসলাম। মৌ সবার পিছনে বসে আছে। গ্রাম থেকে ঢাকা আসতে সম্ভবত ৬ ঘন্টা তো লাগবে। রাস্তায় অগুনিত কথা বলতে বলতে ঢাকায় চলে আসলাম। মৌ কে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চললাম আমি আর রাহি গোপনীয় জায়গা। এর আগে মৌ এর বাবা আমাকে কল দিলো,,

- রাসেদ কোথায় তুমি?
- আংকেল একটা জরুরি কাজে যাচ্ছি। 
- আমার কথা টা আগে শুনো মৌ বাড়িতে এসে পাগলামো শুরু করছে। 
- কি হয়েছে? 
- বাবা তুমি যানো ওর যখন যেইটা মনে হয় তখনই ওইটা করবে।
- কি নিয়ে পাগলামি করছে?
- মৌ বলতেছে কালকের মধ্যে সে তোমাকে বিয়ে করবে।

আংকেল থেকে এই কথা শুনার পর মৌ কে তখন অসহ্য মনে হলো। একটা গুরত্বপূর্ণ কাজে যাচ্ছি শুরু করে দিয়েছে বাচ্চাদের মতো। পরে রেগেমেগে আংকেল কে বললাম,,

- ওরে বলেন আমি পরে কথা বলবো।
- ঠিক আছে বাবা।

কিসের জন্য এইসব ঝামেলা মাথায় নিতে হয়। এর চাইতে ভালো বিয়ে না করা। বিয়ের আগে এই অবস্থা আল্লাহ যানে এরপর যানি কি হয়।
সোজা আমি রাহি গোপনীয় জায়গা চলে গেলাম। রাহি কে সাথে নিয়ে যাওয়ার কারন আছে একটু পর বুঝতে পারবেন। রুমে ঢুকে দেখি স্যার বসে আছে। খুব উত্তেজিত স্বরে বললাম,, 

- স্যার কেমন আছেন?
- আরে রাসেদ.. কখন আসলা? এইটা কে?
- এখনই আসলাম ভালো একটা খবর নিয়ে। আর এ হচ্ছে আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। একটু পাগল ধরনের কাটাকাটি খুব পছন্দ করে।

আমার মুখ থেকে রাহি এই শব্দ টা শুনে ভয় পেয়ে যায়। কি হচ্ছে না হচ্ছে রাহি কিছু বুঝতে পারছে না। রাহি চুপচাপ আমার কথার সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে। স্যার আমার দিক তাকিয়ে বলল,,

- কি বললা আমি কিছুই বুঝি নাই।

ভয়ানক এক হাসি দিয়ে বললাম,,, 

- স্যার পিন কোডের মালিক পেয়েছি তবে পিন কোডের ভিতরে কি আছি আমি একটু পর জানতে পারবো।

- তাহলে তো ভালো আমি জানতাম তুমি পারবে। 

- কিন্তু স্যার আপনি কখনো এইটা জানতেন না যে আমার ভিতরে একটা শয়তান লুকিয়ে আছে।

- মানে?

- মানে টা খুব simple... কথায় আছে না সাপ মরবে কিন্তু লাঠি ভাঙ্গবে না। সে-ই খেলাটা তো দারুণ ভাবে দেখিয়েছেন। সত্যি আপনাকে নোবেল দেওয়ার দরকার।

- তুমি কি বলছ আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।

- একটু অপেক্ষা করেন সবকিছু বুঝিয়ে বলছি। 

রাহি কে ডেকে বললাম এখন তোর খেলা দেখা। ডিভাইস অন করে সব ক্যামেরা বন্ধ করে দে। আমরা যে এখানে এসেছি সেইটা ও যানি না যানে কেউ। সবমিলিয়ে কোনো প্রমাণ চাই না আমি। ঠিক তখনই স্যার ভয়ে ভয়ে বলল,,

- রাসেদ তুমি কোথাও ভুল করছ!
- স্যার ভুলটা সেদিন আপনি করেছেন যেদিন খেলাটা আমার সাথে শুরু করেছেন।

স্যার ভেজা বিড়ালের মতো হয়ে গেলো ভয়ে কাতর হয়ে করুণার স্বরে বলল,,

- তোর কি মনে হয় সবকিছু জেনে গেছিস? হা হা হা হা হা হা হা হা। 

আমি আর রাহি থমকে গেলাম হাসি শুনে। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। তখন স্যার বলল,,

- এই খেলা শুরু করেছি ঠিকই কিন্তু এর শেষ হবে না। তোরে যতক্ষণ না তিলে তিলে মারছি।

- সত্যি কথা বলছি এতক্ষণ পযন্ত আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে সেইটা তুই কি না এখন নিজের মুখে বলে দিয়ে খুবই ভালো করেছিস। 

- এই খেলাটা শুধু তোর জন্য। ওইদিন তুই আমার প্রানের চেয়ে প্রিয় মানুষটাকে মেরে ফেললি। আমি বাবা হয়ে কিছু করতে পারলাম না বরংচ তোরে সবার সামনে বাহবা দিতে হলো। সেইদিন থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোর কাছ থেকে এক এক করে কাছের মানুষ গুলো নিয়ে যাবো আর তোর হাত দিয়ে সেইটা করব। তখন তুই বুঝতে পারবি নিজের হাতে কাছের মানুষ মারা গেলে কি কষ্ট। যখন তুই আমার ছেলেকে মেরেছিস তখন থেকে শুধু একটা ভেবেছি তোর সাথে মৌ এর পরিবার সম্পর্ক করে তোর হাতে তার পুরো পরিবার টা কে শেষ করে দিবো। কিন্তু সেইটা হওয়ার আগে তুই জেনে গেলি।

- তোর দুশমন আমি তাহলে তুই মৌ এর পরিবার কে টানলি কেনো?

- কারন টা তুই ভালো করে জানিস। মৌ এর ভাইয়ের নাম শিমুল ছিলো আমার ছেলের নাম শিমুল ছিলো। সে সবসময় মৌ এর ভাইয়ের সাথে চলাফেরা করতো এবং মেয়েদেরকে উঠিয়ে নিয়ে মৌ দের বাসার গোপন জায়গা তাঁদেরকে মেরে ফেলতো। তুই তো জানিস ভালো করে সাহিদ আর শাওন কে কিভাবে মেরেছি। এখন তোর পালা..

- ঠিক আছে আমাকে তুই মেরে ফেল তবে একটা কথার জানার ছিলো।

- তুই জানতি কি করে যে মৌ এর সাথে আমার সম্পর্ক ঠিক হবে? 

- মৌ এর সাথে তোর সম্পর্ক ঠিক হয়নি বরংচ ঠিক করা হয়েছে। 

- মানে?

- মানে টা হচ্ছে এইসব এমনি এমনি হয়নি আমি তোদের দুই পরিবার সম্পর্ক ঘটিয়েছি। 
যানি অতি সহজে তোর দ্বারা মৌ দের পরিবারের সবাইকে মারতে পারি। তখন তুই কষ্ট পেতে পেতে একদিন মরে যেতি। আর আমার প্রতিশোধ টা সহজে নেওয়া হয়ে যেতো। তুই কিভাবে জানলি যে আমি রবিন? 
এতো কিছুর পর ও জেনে গেলি সেইটার জন্য তোরে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।

- আরে রাখ তোর ধন্যবাদ একটু পর মাথায় বুলেট ঢুকিয়ে চোখ দুটো নিয়ে বাজারে মারবেল হিসাবে বিক্রি করে দিবো শয়তানের বাচ্চা। তুই অকারণে এতোগুলো মানুষকে খুন করেছিস।

- অকারণে খুন করেছি তোর কাছে অকারণ মনে হলো। আমার ছেলেকে খারাপ করেছে কে যানিস,,,মৌ এর ভাই শিমুল। তারে প্রতিনিয়ত নিয়ে নেশা করিয়ে এমনটা করেছে।
আজ আমার ছেলে বেঁচে থাকতো আমার বুকেই থাকতো। কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে গেছে ওই পরিবারের ছেলের জন্য। তাঁরা তাঁদের ছেলেকে মানুষ করতে পারে নি তাই হয়তো আমার ছেলে ও তার দেখাদেখি এমন হয়েছে।

- কি বললি মানুষ করতে পারে নি? আরে তাঁরা মানুষ করতে পারে নি সেইটা তাঁদের ব্যাপার কিন্তু তুই তো তোর ছেলেকে মানুষ করবি কি করে আগে নিজে মানুষ হয়ে দেখ।

- লেকচার কম দে,,, আমার ছেলের মেয়েদের প্রতি আসক্ত ছিলো তাই মৌ দের বাড়িতে কেউ না থাকলে তারা দু'জনে মিলে মেয়েদের কে উঠিয়ে নিয়ে নিযার্তন করে মেরে ফেলতো কিন্তু একদিন মৌ এর ভাই আর সহ্য করতে না পেরে পুলিশের কাছে বলে দিবে সে ভয়ে আমি আমার আত্মসম্মানের জন্য তোকে পাঠাইছিলাম যে তাঁরে গুলি করার জন্য আর তুই একসাথে দু'জন কে মেরে ফেললি আর সেই দু'জন মধ্যে যে আমার ছেলে ও ছিলো। সে দিনে প্রথমবারের মতো বুঝতে পারলাম আপনজন যখন নিজের কারনে মারা যায় তখন কষ্ট টা কত তীব্র হয়। আর সেই কষ্ট টা আমি তোরে দিতে চেয়েছি। তোর হাতে মৌ এর পরিবার কে শেষ করে দিতে চেয়েছি কিন্তু পারলাম না। 

- আমি থাকতে মৌ এর পরিবারে কখনো কিছু হবে না। তুই পরের জন্য গর্ত খুঁড়েছিলি কপাল খারাপ তোর নিজের গর্ত নিজে পরলি। 

রাহি টাঙ্কি খেয়ে দাড়িয়েছে,,, এমন সময় রাহি রবিনের কাছে গিয়ে দিলো জোরেসোরে এক থাপ্পড়। রবিন চোখগুলো বড় বড় করে রাহির দিক তাকিয়েছে। আমি এইবার আরো একটু টুইস্ট দিয়ে বললাম,, 

- রবিন তোর খেলা শেষ এখন আমার শুরু তোর সব কথা রাহির হাতের ডিভাইসে রেকর্ড হয়ে গেছে। তুই শেষ এখন বল তুই আমার হাতের গুলি খেয়ে মরবি নাকি নিজে হাতে নিজেকে গুলি করবি?

রবিন চোখগুলে বড়সড় করে আমার দিক তাকিয়েছে। রবিন একটা কথা বলল,,

- আমার বিড়াল আমাকে বলিস মেউ। খুব খারাপ হবে রাসেদ খুব। 

- তুই আমার বা* করতে পারবি। এখন যদি আমি তোরে গুলি করা শুরু করি দেহের মধ্যে যতগুলো ছিদ্র আছে সবগুলে ভরাট করে দিবো। তোর গেম টা ছিলো পিনকোড নিয়ে অথচ পুরোটাই মনগড়া কাহিনী বানিয়েছিস মনগড়া পিন কোড দিয়েছিস। দারুন মাষ্টার প্লান করেছিস। 

রবিন জোরেসোরে একটা হাসি দিয়ে বলল। এই পিন কোড তোর পিছু ছাড়বে না বলে দিলাম। আবার দেখা হবে দোস্ত বলে রবিন নিজের মাথায় নিজে গুলি করল। সাথে সাথে মাঠিতে লুটিয়ে পরল। কয়েক সেকেন্ড পর রবিনের গল্প শেষ হয়ে গেলো।

রাহি আর আমি সবকিছু আগের মতো করে দিয়ে রবিন কে ওই জায়গা রেখে চলে আসলাম। নতুন যাত্রা পথে দু'জনে চলতে লাগলাম। মনে হচ্ছে বিজয় গান চারিদিক দিয়ে কানে ভেসে আসছে। আমি আর রাহি বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে নিলাম। আমরা এখন বোতলের ভিতর একটা চিরকুট লিখে সেই চিরচেনা জায়গা গিয়ে ভাসিয়ে দিবো। রাহি আমার শর্ট প্যান্ট পরা কালিন থেকে বন্ধু। আমরা কখনো যদি কোনো খেলাধুলায় বিজয় হতাম একটা জায়গা গিয়ে সবসময় বোতলে চিরকুট রেখে ভাসিয়ে দিতাম। এই নিয়ে আমরা দু'জন ৪৯ টা বোতল ভাসিয়েছি। আর একটা হলে আমাদের দু-জনের ফিফটি হয়ে যাবে। খেলা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা কেইসে দু'জন মিলে সমধান করি। রাহি এর সাথে জড়িত না তবে তার টেলেন্ট কাজে লাগিয়ে আমি সফল। অনেক ঝগড়াঝাঁটি করে দু'জন বড় হয়েছি। রাহি থেকে ডিভাইস টা নিয়ে রবিনের পুরো ভিডিও ল্যাপটপে রেখে দেয়। তৈরি হয়ে নিচে যাবো এমন সময় রাহির মোবাইল কল আসে। রাহি কল দেখে চুপসে গেলো। আমি রাহি কে জিজ্ঞেস করলাম,, 

- কি রে কল উঠাস না কেন?
- আরে এখন কল উঠাইলে মোটি বলবে ওরে নিয়ে রেস্টুরেন্ট যেতে। সারাদিন খাওয়া ছাড়া কিছুই বুঝে না। 
- টাকার সমস্যা হলে আমার কাছ থেকে নিয়ে যা।
- আরে না টাকা আছে। ওর কল ধরলে বকবকানি শেষ হবে না তাই ভাবছি পরে কল দিয়ে সবকিছু শুনবো।

ঠিক তখনই আমার মোবাইলে মৌ এর কল আসলো,,,

- এতক্ষণ আপনার ফোন ধরার সময় হয়েছে?
- ব্যস্ত ছিলাম।
- আমি সোজাসাপটা একটা কথা বলব জবাব দিবেন।
- হুম বলো।
- আমাকে কালকে বিয়ে করতে হবে তা না হলে আমি বিয়ে করব না বলে দিলাম।
- এইটা তো ভালো কথা কালকে কেন আজকে করে ফেলি। 
- নাহ আমি কালকে করব। আপনি পাঞ্জাবী পড়ে আসবেন সাথে মুখে রুমাল দিয়ে লজ্জা মুখ ডাকবেন আমি এইসব দেখার অপেক্ষায় আছি।
- ওহ কতো শখ।
- আচ্ছা আচ্ছা রাখি আমি হাতে মেহেদী দিবো।

এই বলে কল টা কেটে দিলো। এইদিক দিয়ে বাবা মা আমাকে না জানিয়ে সব কিছু করে ফেলেছে। কালকে আমার বিয়ে এখন পযন্ত কিছু জানতাম না এইমাত্র মৌ থেকে শুনলাম। 
আমি আর রাহি আবার উপরে গিয়ে বললাম,,

- মা কাল নাকি আমার বিয়ে? 
- হ্যাঁ,,, অনেক কাজ পরে আছে সব গুছাইতে হবে।
- কি বলছ? হুটহাট বলে দিলা আমি জানালাম ওই না। আমার ও তো কিছু কিনার দরকার ছিলো। 
- সব কিনা হয়ে গেছে ওই জায়গা তোর আর তোর ভাদাইমা বন্ধুর কাপড়চোপড় আছে। 

এই কথা রাহির কানে পৌঁছাতে না পৌঁছাতে দৌড়ে গেলো। পরে গিয়ে তারে বললাম,, 

- লজ্জা শরম কিছুটা টা থাকার দরকার। এইদিক দিয়ে কোনো প্রস্তুতি নাই আর তুই দৌড়ে আসলি পোশাকের জন্য। একবার আমার কথাটা ভাব।

- এইসব ভাবার সময় নাই। যা হবে ভালো হবে আমি মনে করি তোরে শুধু মৌ ঠিক করতে পারবে।

এইভাবে একটা দিন পার হয়ে গেলো। আজকে আমার গলার সাথে মৌ কে ঝুলিয়ে দিবে। এই মেয়ে যে পাগল কখন কি করে সে নিজে যানে না। বর সেজে বাড়ি থেকে রওনা দিলাম ১০ মিনিটের পথ। ঠিক তখন সন্ধ্যা ৭ টা বাজে মৌ দের বাড়ির নিচে এসে উপস্থিত আমরা। অনেক ঝামেলা শেষ করে বিয়ের আসরে গিয়ে বসলাম। কাজী সাহেব এসে আমাকে বলল,,

- বাবা তুমি এই বিয়েতে রাজী আছো?

তখন খুব ভয় পাচ্ছিলাম সাহস পাওয়ার জন্য রাহি কে ডাক দিলাম কিন্তু আশেপাশে রাহি কে আর দেখলাম না। তাই উপায় না পেয়ে বলে দিলাম কবুল। সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে বিয়ের কাজ সমাপ্ত করল। তার কয়েক মিনিট পর রাহি কে দেখছিনা। বলদ টা গেলো কোথায়? 
৫ মিনিট পর কল আসলো আমার মোবাইলে অপরিচিত এক নাম্বার থেকে। কলটা ধরে,, 

- কে বলছেন?

খুব ভয়ানক কন্ঠে বলে উঠলো,,
- হাই রাসেদ Congratulation বিয়ের কাজটা ভালো ভাবে কেটে গেলো।

- কে? 

- আমি তোমার খুব কাছের মানুষ কিন্তু অনেক দূরে বসবাস আমার। আমি সেই পিন কোড যাকে তুই খুজতেছিস।
তোমার পকেটে যে ডিভাইস টা আছে সেইটা আমার চাই। মানে এক কথায় রবিন স্যার কে যে মেরেছে তার আগে যে জবানবন্দি নিয়েছ সেইটা।

- ভয় দেখাচ্ছিস সাহস থাকলে সামনে এসে নিয়ে যা।

- একদম চালাকি করিস না রাসেদ খুব খারাপ হবে। তোর বন্ধু কে যদি জীবিত দেখতে চাস তাহলে ডিভাইসটা গেইটের সামনে কালো গাড়ির ভিতরে রেখে দে। 

অপরিচিত কন্ঠে যখন রাহি কে তুলে নিয়ে গেছে তখন ভয় পেয়ে সাথে সাথে ডিভাইসটা গাড়ির ভিতরে রাখলাম। তারপর মোবাইলের ওপাশ থেকে বলল,,,

- তোর প্রিয় বন্ধু কে নিয়ে যা। ছাঁদের মধ্যে রাখা আছে খুব সাবধানে। 

আমি তারাহুরো করে ছাঁদে যাই। কোথাও রাহি কে দেখলাম না। হঠাৎ দেখতে পাই একটা ব্যাগ থেকে রক্ত বের হচ্ছে। সাথে সাথে ওই ব্যাগের চেইন খুলে দেখি রাহির শরীর থেকে মাথাটা আলাদা করা। 

জোরে একটা চিৎকার দিলাম। বাকরূদ্ধ হয়ে গেলাম মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। সবকিছু কেমন যানি কালো হয়ে আসছে। আমার পাশে রাহির দেহটা পরে আছে রাহি কথা বলছে না সহ্য করতে পারছি না।
বন্ধু আমার জন্য আজ তোর এই অবস্থা হলো। রাহি বলেছিল যেদিন তুই থাকবি না তখন? আজকে আমার অনুপস্থিতিতে রাহি আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। হঠাৎ গাড়ির শব্দ কানে ভেসে আসলো। ছাঁদের কিনারা গিয়ে দেখি কালো গাড়িটা অনেক গতিতে পালাচ্ছে। 
আমার কিছুই করার ছিলো না রাহির এখানে ছুটে এসে কান্না ছাড়া। বুকে জড়িয়ে ধরলাম ছিন্নভিন্ন হওয়া দেহটা কে।

চলবে,,

গঠনমূলক কমেন্ট করবেন প্লিজ আর সাথে থাকুন।




Post a Comment

0 Comments