দুই বউ

Ads Inside Post

দুই বউ



পর্ব---২

ফারজানা চোখ খুলেই ভুত দেখার মত হয়ে যায় কারন এই জুনায়েদ তার ছাত্র
আর ফারজানার সব চেয়ে প্রিয় ছাত্র।
..
ফারজানা: জুনায়েদ তুমিইইইই( জরে চিল্লাইয়া)
জুনায়েদ: আপনিইইইইই?
সাথী: হুম তোমরা দুজন যে লুকিয়ে প্রেম করো আমি ত কিছুই জানিনা।
জুনায়েদ: আমি ত কিছুই বুঝতে পারছিনা আপু দুজন প্রেম করি মানে?
সাথী: কেন কেন, এই যে ফারজানার সাথে লুকিয়ে প্রেম করিস আর ও আবার
তোর কলেজের টিচার।
জুনায়েদ: উহ উনার নাম ত লিপ্তি, ফারজানা হবে কেন?
সাথী: হুম ওর আরেকটা নাম ফারজানা।
জুনায়েদ: কি বলছিস আপু এই সব।
সাথী: ঠিকি বলছি আর তোর ফোন অফ পেয়েইত ফারজানা এমন করেছে।
জুনায়েদ: আমি কিছু জানিনা আপু আমার মাথায় জাচ্ছেনা আমি বাসায়
গেলাম।
সাথী: কোথায় যাচ্ছিস?
জুনায়েদ: জানিনা।
সাথী: ভাই ভাই শোন প্লিজ যাসনে।
..
জুনায়েদের মাথায় কিছুই ঢুকে না শেষ র্পযন্ত ম্যাডামকে ভালোবাসলো।
জুনায়েদ ভাবে ফারজানাকে ভুলে যাবে কিন্ত এই কই দিনে যে
ফারজানাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে।
.
.
আর এই দিকে ফারজানা ভাবে এটা আমি কি করলাম আমি এতো দিন
ছাত্রের সাথে প্রেম করলাম।
ফারজানা হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্না করছে আর সাথী বুঝাচ্ছে
জুনায়েদকে ভুলে যেতে। কিন্তু ফারজানা বুঝেনা, সে ত জুনায়েদকে
ভালোবেসেছে তার ছাত্রকে না।
.
সাথী: এখন কি করবি?
ফারজানা: আমি জানিনা কি করব।
সাথী: জুনায়েদ কে ভুলে যা আর ওকে আমি বিদেশে পাঠিয়ে দিবো।
ফারজানা: ওর ত কোনো দোষ নেই আমিই প্রথমে ওকে ভালোবাসার কথা
বলি।
সাথী: তুই ওকে ভুলে যা।
ফারজানা: হুম ভুলে যাবো। কারন মানুষ আমাদের সর্ম্পক জানলে খারাপ
ভাববে।
সাথী: জুনায়েদ যে কিভাবে ভালোবাসায় মগ্ন হলো বুঝতে পারছিনা।
ফারজানা: সব আমার দোষ।
সাথী: কান্না করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে।
ফারজানা: জুনায়েদ যদি কিছু করে ফেলে।
সাথী: কিছু করবেনা ওকে বুঝালে বুঝবে।
.
.
ফারজানা: তাই যেনো হয়।
সাথী: তোরা কি প্রথমে কিছু বুঝতে পারিস নাই?
ফারজানা: নাহ তোর ভাই আমার ছাত্র হলেও খুব ভালোবাসিরে।
সাথী: দেখ বাবা মা তোদের মেনে নিবেনা আর এটা সমাজের চোখে
খারাপ দেখাই।
ফারজানা: জানিনা কি করব আমি।
সাথী: তুই ওকে ভুলে যা।
ফারজানা: ও সামনে থাকলেই যে কষ্ট পাবো।
সাথী: সেই জন্য ত দূরে সরিয়ে দিচ্ছি,বিদেশ।
ফারজানা: হুম।
.
.
ফারজানাকে বুঝিয়ে সাথী হাসপাতাল থেকে বাসায় পাঠায়।
.
ফারজানা জুনায়েদ কে যে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। অনেক ভালোবাসে।
.
ফারজানা সারা দিন সারা রাত কান্না করে আর জুনায়েদ এখন সব সময় মন
খারাপ করে থাকে।
জুনায়েদও যে ফারজানা কে খুব ভালোবেসে ফেলেছে।
.
ফারজানা এখন নিয়মিত কলেজে যায় কিন্তু জুনায়েদ বন্ধ ঘরে বসে থাকে।
.
জুনায়েদকে ফারজানা না দেখতে পেয়ে অন্য রকম হয়ে গেছে।
দুজনের অবস্থা সাথী দেখে শুধু মন খারাপ করে থাকে।
এক দিকে নিজের আপন ভাই আর অন্য দিকে নিজের প্রান প্রিয় বান্ধবি।
সাথী কি করবে কিছু বুঝতে পারেনা।
.
কিছুদিন এভাবে যাবার পর ফারজানা নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেনা।
আর তখন একটা কথা বার বার মনে পড়ে যায় ৩ বার কবুল করা বউ।
৩ বার কবুল বলা বউ মানে জুনায়েদ আর ফারজানা এক দিন ঠিক করে তারা
ফোনে বিয়ে করবে তাই তাদের সাক্ষী লাগবে। ফারজানা আর জুনায়েদ দুজনার ৩ বন্ধু কে ফোনের পাশে রেখে কবুল বলে বিয়ে করে। আর এই কথাটা ফারজানার অন্তরে তিরের মতো লাগে। তাই ফারজানা সাথীকে ফোন করে।
.
ফারজানা: হ্যালো সাথী তুই কোথায়?
সাথী: আমরা সবাই খালার বাসায় আসছি বেড়াতে।
ফারজানা: তোরা কি শুধু বেড়াই বেড়াস নাকি।
সাথী: হু তুই কি বলবি তাই বল।
ফারজানা: জুনায়েদ কই ,দে কথা বলব।
সাথী: ও ত আমাদের সাথে আসেনি বাসায় আছে আর কেন কথা বলবি?
ফারজানা: আমার ইচ্ছে তোর কি।
সাথী: আমার কি ওর কাছে ফোন নাই।
ফারজানা: মানে?
সাথী: হুম ফোন নেই ওর।
ফারজানা: ধুর বাল।
সাথী: হিহি।
.

ফারজানার আবার মন খারাপ হয়ে যায়। আর এই দিকে জুনায়েদ বাসায় একা তাই ইচ্ছে মতো নেশা করে কষ্ট একটূ কমানোর জন্য। নেশার পরিমান টা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে।
.
ফারজানা কিছু না ভেবে জুনায়েদের বাসায় চলে যায়।
বাসায় গিয়ে কলিং বেল বাজায় আর জুনায়েদ দোরজা খুলতে গিয়ে সোজা
ফারজানার শরীরের ওপর পড়ে যায়।
.
ফারজানা জুনায়েদ কে ধরে বিছানায় শুয়ে দেই।
.
ফারজানা: এই জুনায়েদ তোমার কি হয়েছে এমন করছো কেনো?
জুনায়েদ:..............
ফারজানা: তোমার মুখ দিয়ে কি বিচ্ছিরি গন্ধ বের হচ্ছে। কি খেয়েছো?
জুনায়েদ:..................
ফারজানা: কি হলো কথা বলো।
জুনায়েদ: তুমি তো আমায় ভালোবাসো তাই না ( নেশার ঘরে)
ফারজানা: হুম অনেক ভালোবসি।
জুনায়েদ: তাহলে আমায় উম্মাহহ দাও।
ফারজানা: আমি পারব না।
জুনায়েদ: তাহলে তুমি আমায় ভালোবাসো না।
ফারজানা: কি বলছো এই সব খুব ভালোবাসি ত তোমায়।
জুনায়েদ: তাহলে উম্মাহহহ দাও।
ফারজানা: হুম দিচ্ছি উম্মাহহ।
.
ফারজানা যেই জুনায়েদ কে উম্মাহহ দিতে শুরু করেছে আর আর জুনায়েদ
ফারজানাকে সমানে কিস করতে থাকে।
ফারজানাও সাড়া দেই এই ভালোবাসায়।
.
কিছুক্ষনের মধ্যে ফারজানা জুনায়েদ এক অন্য রকম ভালোবাসায় সিক্ত হয়।
.
সকালে ফারজানা চোখ খুলে দেখে সে জুনায়েদের বুকে সুয়ে আছে।
এই দিকে জুনায়েদেরও ঘুম ভেঙ্গে যায়।
.
আর ফারজানার রাতের কথা মনে পড়ে যায় কি হয়েছে আর তখনি জুনায়েদ
ফারজানা কে জড়িয়ে ধরে। আর তখনি জুনায়েদকে ঠাস ঠাস ঠাস
করে চড় লাগিয়ে দেই।
.
জুনায়েদ এই ব্যবহারে অবাক হয়ে যায়।
.
ফারজানা: তুই আমার এতো বড় ক্ষতি কেন করলি?
জুনায়েদ: মানে?
----------------------------
ফারজানা: মানে বুঝোনা আমার এতো বড় সর্বনাশা করেছো?
জুনায়েদ: রাতে তুমিইত আমার কাছে এসেছিলে।
ফারজানা: তুমি যদি আমায় না টানিতে এমন হতো না।
জুনায়েদ: তুমিও ত আমায় জোর করে সরিয়ে দিতে পারতে।
ফারজানা: আমি এখন কি করব সমাজে মুখ দেখাবো কি করে।
জুনায়েদ: প্লিজ ফারজানা এমন করোনা।
ফারজানা: কুত্তার বাচ্ছা আমার এতো বড় ক্ষতি করে আবার আমার নাম ধরে
ডাকা।
জুনায়েদ: তুমিত আমায় ভালোবাসো।
ফারজানা: ভালোবাসি না এখন, আগে বাসতাম।
জুনায়েদ: মানে?
ফারজানা: তুই আমাকে না আমার দেহ কে ভালোবাসিস।
জুনায়েদ: দেখো ফারজানা তোমার ভুল হচ্ছে।
ফারজানা: আবার নাম ধরে ডাকছিস আমি তোর ম্যাডাম হয় তোর থেকে ৫
বছরের বেশি বড় হবো।
জুনায়েদ: আগেই ভাবা উচিৎ ছিলো এখন এমন না করলেও পারতে
.
ফারজানা: আমি তো জানতাম না তুই একটা জানোয়ার যে আমার দেহ চাস।
জুনায়েদ: ভুল হচ্ছে কিন্তু রাত্রে অতিরিক্ত নেশা করার ফলে আমিই
কিছুই বুঝতে পারি নাই।
ফারজানা: হ এখন ত নেশার কথা বলবি। লুচ্চা কোথাকার।
জুনায়েদ: প্লিজ এমন করোনা আমরা ত বিয়ে করেছি তাইনা একবার।
ফারজানা: হাহা বিয়ে সে টা আবার কবে করলাম?
জুনায়েদ: কেনো তোমার আমার বন্ধু কে সাক্ষী রেখে ৩ বার কবুল বলে
বিয়ে করোনি?
ফারজানা: ঐ কথা বাদ দেই তোর কাছে শুধু দেহ মানায়, বিয়ে না।
জুনায়েদ: প্লিজ ফারজানা এমন করোনা। ( হাত ধরে)
ফারজানা: ঠাস ঠাস ঠাস কুত্তার বাচ্ছা তুই আমায় টাস করবিনা।
জুনায়েদ: ভুল বুঝোনা প্লিজ।
ফারজানা: তোকে যেনো আমার সামনে না দেখি আর যদি আমার
সামনে দেখি তুই আমার মরা মুখ দেখবি।
জুনায়েদ: কি বলছো এই সব।
ফারজানা: যা বলছি ঠিকি বলছি আর দেহ এর সাদ পেতে চাইলে পতিতালয়
যা অনেক নতুন দেহ পাবি। বাই ভালো থাকিস।
.
.
এই কথাগুলো বলে ফারজানা কান্না করতে করতে চলে গেলো আর জুনায়েদ
এখন শক হয়ে বসে আছে কি থেকে কি হয়ে গেলো।
ফারজানাইত প্রথমে সাড়া দিয়েছিলো আর এখন ঐ ভুল বুঝতেছে।
জুনায়েদ আরো ভাবে আমিত নেশা করেছিলাম আমাকে সরিয়ে দিলে
কিছুই হতোনা আর ফারজানা যাবার সময় এতো বড় কথা বলে গেলো।
.
জুনায়েদও বসে বসে কান্না করতে থাকে তার ভালোবাসায় যে একটু ভুল
নেই তাও কেন এমন হলো।
.
ফারজানা চলে যাওয়াই জুনায়েদের মাথার প্রবলেম টা একটু নাড়া দেই।
দিন দিন জুনায়েদের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। আর এই দিকে ফারজানা আর
জুনায়েদের সাথে যা ঘটেছে সব সাথী কে বলে।
সাথী এই কথা গুলো শুনে স্থব্ধ হয়ে যায়। এখন সে কি করবে কিছুই বুঝতে
পারছেনা এক দিকে নিজের আপন ভাই আরেক দিকে প্রান প্রিয় বান্ধবী।
সাথী কাউকে কিছু বলতে পারেনা।
.
এই দিকে ফারজানা কষ্ট পেতে থাকে কারন জুনায়েদকে যে সে খুব
ভালোবাসে কিন্তু সেই রাতের কথা মনে পড়লে জুনায়েদের ওপর রাগ হয়।
.
ফারজানা কলেজে ক্কিন্তু জুনায়েদকে দেখে না। সাথীকে বলতে পারেনা জুনায়েদের কথা।আর জুনায়েদ ফারজানাকে অনেক ভালোবাসে তাই সে লুকিয়ে লুকিয়ে ফারজানা কে দেখে।
.
.
হঠাৎ করে জুনায়েদ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে এডমিট করা হয় ডাক্তার
জানায় মাথায় টিউমার থেকে ক্যান্সারে রুপ নিয়েছে তাই যতো তাড়াতাড়ি দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
.
২ দিন পর সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
.
ফারজানা এতো ঘৃনা করে জুনায়েদকে যে যাওয়ার সময় একবারো দেখতে
আসেনি। এই নিয়ে জুনায়েদ অনেক কষ্ট পায়।
.
.
জুনায়েদ সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরে ফারজানা আর রাগ করে থাকতে
পারে নাই। জুনায়েদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে কিন্তু অসুস্থ তাই
কথা বলতে পারেনা।
.
.
কিছু দিন পর খবর এলো জুনায়েদ ব্রেন ক্যান্সারে মারা গেছে।
.....
.........(চলবে )...........


Post a Comment

1 Comments

Thanks for your valuable comment. We will be back soon.
Thank you 😊😊😊