পর্ব---২য়
আমি বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছি।প্রশ্নের উত্তরটা কিছুতেই মাথায় আসছে না। ম্যাডাম আমার দিকে তাকিয়ে আছেন,চোখেমুখে তার বিজয়ের হাসি।বড় কঠিন প্রশ্ন করা হয়েছে আমাকে।খুব সম্ভব, কঠিন প্রশ্নগুলো শেষে করারই নিয়ম।আমি গাল চুলকাচ্ছি।মুখে প্রচুর ব্রণ।এপালিন ক্রিম আর লিনডেক্স বি জেল লাগাচ্ছি, তবুও কমছে না।ডাক্তারের পরামর্শে না,তপুই আমাকে সাজেস্ট করেছিল।আমার মনে হচ্ছে শুধু শুধু টাকা নষ্ট হলো,কাজের কাজ কিছুই হলো না,কিছুই হবে না।আমি আমতা আমতা করে বললাম,কুত্তা...
ম্যাডাম চোখমুখ গরমকরে আমার দিকে তাকালেন।কড়া গলায় বললেন,সুন্দরকরে বলো।তার নাম কুকুর। তিনশব্দের নাম,একে সংক্ষেপ করার কোনও মানে হয়?
আমি বললাম, ম্যাডাম,কুত্তাও তিনশব্দের।ত+ত=ত্ত।হি হি!
ম্যাডাম আমার দিকে সরুচোখে তাকিয়ে বললেন,উত্তর বলো।
আমি হাসিমুখে বললাম, একটা কুকুর একটা জঙ্গলের পুরাটাই দৌঁড়াতে পারবে।আরও বেশী পারবে,তবে তখন সে জঙ্গলের বাইরে রাস্তায় চলে আসবে।
পুরো ক্লাস ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে আছে।উত্তরটা সঠিক হয়েছে কি না,তা শুনতে সবার মন নিশপিশ করছে।
ম্যাডাম মাথানিচু করে বললেন,কারেক্ট!
পুরো ক্লাসে হৈ চৈ পড়ে গেল।সবাই তালি দিয়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানাল,কেও কেও স্লোগান এর মতো করে বলতে লাগল,কিস কিস কিস!
আমি বিজয়ের হাসি হেসে ম্যাডামের দিজে তাকিয়ে আছি।তিনি আগের মতই মাথানিচু করে আছেন।চুমুটা যে এখনই খেতে হবে, তা কিন্তু না।অনেকে বাসর রাত নিয়ে নোংরা রসিকতা করে, আমার এটা একেবারেই পছন্দ না।সবকিছু বাসর রাতেই হতে হবে, এমন তো না।বৌ তো আর বাপের বাড়ি পালিয়ে যাচ্ছে না।নাকি যাচ্ছে? তাছাড়া কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, "তিনি ধৈর্যশীল বান্দাদের পছন্দ করেন।"আমি ধৈর্যশীল হওয়ার চেষ্টা করছি।
২.
একটু পর বাস ছাড়বে।ম্যাডাম বেশ সেজে-গুজে এসেছেন।দ্যাখে মনে হচ্ছে,প্রেমিকের সাথে আনন্দ ভ্রমণে বেরিয়েছেন।
আমি হাসিমুখে ম্যাডামের পাশে বসলাম। তিনি জানালার সাইডে বসেছেন।আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি,ব্যাপারটা তিনি ধরতে পেরে মহাবিরক্ত হলেন।তাতে আমি মোটেও রাগলাম না,বরং মিষ্টি করে একটু হাসলাম।কবিগুরু বলেছেন,বৎস! তোমার মন যদি কোনও সুন্দরী জয় করিয়া ফেলে তবে তাহার পেছনে ঘুরিবে।সুন্দরী অনেক ডাঁট দ্যাখাইবে,তোমাকে প্রহার করিবে,যাতনা সইতে না পারিয়া জানালাদ্বয় বন্ধ করিয়া দিবে।কিন্তু তুমি তাহাতে বিরক্ত প্রকাশ করিবে না,বরং তাহার পেছনে দৌঁড়ানো কখনওই বন্ধ করিবে না।দ্যাখিবে,একদিন সে-ই তোমারি প্রেমে হাবুডুবু খাইতে থাকিবে।
আমার উৎসাহ আরও বেড়ে গেল।ম্যাডাম বিরক্তচোখে প্রকৃতি দ্যাখছেন।বাস খুব দ্রুত চলছে।কক্সবাজার পৌঁছাতে বেশী সময় লাগার কথা না।
আমি ডাবল একরুম ভাড়া করলাম।ম্যাডাম তুমুল আপত্তি জানাল,আমি তাতে সায় দিই নি।মেয়েদেরকে ভয় দ্যাখাতে আমার ভাল লাগে। টাকা সব ম্যাডামের কাছ থেকেই নিচ্ছি।চ্যালেঞ্জে হেরে গিয়ে তাকে খুব অসহায় লাগছে।তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছি বলে নিজেকে পিশাচ শ্রেণির প্রাণি মনে হচ্ছে।
জার্নি করে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় শুয়েছি।ম্যাডাম ঝাঁজালো কণ্ঠে বললেন, রুম চেঞ্জ করো।
আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন?
পাশের রুমে এরা কারা? এত চিল্লাচিল্লি করে।পুরা মাথা ধরাই ফেলছে।একে তো ডাবল রুমে পাঁচজন তোমার মতো জানোয়ার টাইপ ছেলে থাকছে,তার উপর একটু পরপর হাততালি,সিটি, গান, নাচ -সবই করছে।
আমি রহস্যের ভঙ্গীতে হাসলাম।পাশের রুম থেকে 'কালা চশমা' গানটা ভেসে আসছে...
ম্যাডামের হাত ধরে সাগর পাড়ে হাঁটছি।একটুপর সূর্য অস্ত যাবে।আজ আমাদের প্রথম রাত হতে যাচ্ছে।আচ্ছা ঢাকায় ফেরার পর কি ম্যাডামের চাকরি চলে যাবে? যেতেই পারে।মানুষ রসিয়ে রসিয়ে আলাপ জমাতে পছন্দ করে।হয়তো গুজুব উঠবে, ম্যাডাম তো কক্সবাজার থেকে প্রেগন্যান্ট হয়ে এসেছেন।হা হা হা! গেল ম্যাডাম আর ছাত্র, এখন ফিরে এসেছে তিনজন।আমার কি হবে? আমাকে কি বহিষ্কার করা হবে? বহিষ্কার করা হলে অন্যকোথাও গিয়ে ভর্তি হয়ে গেলেই হলো।অসম্ভব ভাবে কোথাও ভর্তি হওয়ার সুযোগ না ফেলে চাকরী-বাকরী করব।ইডিয়টরা সব পারে। আমি ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বললাম, আপনার প্রেমিক আছে?
না।
ছিল কখনও?
ছিল।
এখন কি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে, নাকি পটল তুলেছে?
ম্যাডাম বিরক্তবোধ করলেন।কোনও জবাব তো দিলেনই না, উল্টো আমার হাত ছেড়ে দিলেন।
আমি আগের মতই হেসে বললাম, বাসায় কে কে আছে আপনার?
আমি আর মা।
বাবা কি মারা গেছেন?
না,তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে।
ও আচ্ছা। বিয়ে করছেন না কেন?
ছেলেদেরকে আজকাল বিশ্বাস হয় না।
আমি একথায় সামান্য অপমানবোধ করলাম।ইডিয়ট হলেও অপমান বলে একটা ব্যাপার আমাকে ছেড়ে যায় নি কখনও।কিছুক্ষণ চুপচাপ হাঁটলাম।একটুপর ম্যাডাম নিজেই বললেন, তোমার ব্যাগের এককোণে একটা ময়লা কাগজ ছিল।খুব সম্ভব অনেক আগের দিনের কাগজ।ওখানে লেখা আছে 'এ কেমন কান্না তোমার, আমায় যখন আদর করো' লাইনটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।কে লিখেছে?
জানি না।
অনেক আগের দিনের কাগজ তো, তাই বললাম।লেখাটাও পুরান।
ও আচ্ছা। ম্যাডাম, আপনার কি কোনও বান্ধবী নেই?
না।আমি একা।
আমি ব্যাপারটা কিভাবে ধরলাম,বলব?
লাগবে না।
আচ্ছা।
আচ্ছা, একা মানে কি? আমার সাথে কেও নেই,নাকি, আমিই কারও সাথে নেই...?
সূর্য অস্ত যাচ্ছে। কক্সবাজার আমাকে মুগ্ধ করতে পারছে না।আমাকে মুগ্ধ করে বড় বড় পাহাড়।আজ একটা দিন চলে যাচ্ছে। আর বাকি দু'দিন। আমি ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বললাম,ম্যাডাম,আজ রাতে কিভাবে কি করবেন, সব ঠিকঠাক ভাবে ভেবে রেখেছেন তো?
ম্যাডাম আমার দিকে তাকালেন।রাগার চেষ্টা করলেন।কিন্তু রাগতে পারলেন না।তার চোখমুখে রাজ্যের ভয় ভীড় করছে।তিনি রাগার চেষ্টা করতে করতে বললেন, আজ রাতে কিছুই হবে না ইডিয়ট!
আমি হো হো করে হাসতে হাসতে বললাম, আজ রাতে সবই হবে ম্যাডাম।আমি যা বলব,আপনাকে তাই করতে হবে।
ম্যাডামের রাগ সপ্ত আসমানে উঠল।তিনি দাঁতে দাঁত চেপে চাপা গলায় বললেন, আমি কিছুই করব না।তোমার এত সাহস হয় কিভাবে?
আমি পূর্বের মতো হো হো করে হাসতে হাসতে বললাম, ম্যাডাম,আমাদের পাশের রুমে কয়েকটা ছেলে উঠেছে না?
সরুচোখে আমার দিকে তাকিয়ে ম্যাডাম বললেন,তো?
ওরা আসলে আমারই বন্ধু।আমিই তাদের ফোন দিয়ে আনিয়েছিলাম। আমি জানি তো আপনি এভাবে রাজি হবেন না।তাই অন্য পন্থা অবলম্বন করা।এই আরকি! হি হি!
-----------------------------
ম্যাডাম হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকালেন।তার চোখে মেঘ জমছে। প্রকৃতিতে সন্ধ্যা নামছে।সন্ধ্যা বিষণ্ণতার প্রতীক।অকারণেই মনটা খারাপ করে দেয়।ম্যাডামের চোখেমুখে সন্ধ্যা নামছে।আশেপাশের মানুষগুলো ম্যাডামের দিকে বাজেভাবে তাকাচ্ছে, মনে হচ্ছে,গিলে খাচ্ছে। আমি ম্যাডামের হাত ধরলাম।তিনি সেই হাত ছাড়ানোর কোনও চেষ্টা করলেন না।তিনিও খুব সম্ভব আমার কাছে নিরাপত্তাই চাচ্ছেন। আশেপাশের মানুষগুলো থেকে হয়তো আমাকে তিনি 'মন্দের ভাল' ভাবছেন। হঠাৎই আবার হাতটা ছাড়িয়ে নিলেন,আমি কিছু বললাম না।একবার আমি বসে বসে আমার দু'বছরের ভাগিনীর খেলা দ্যাখছিলাম।ঠিক তখনি লোডশেডিং হলো।পিচ্চিটা ভয় পেয়ে দৌঁড়ে এসে আমার কোলে উঠে গেল।খুব শক্তকরে আমাকে জড়িয়ে ধরল।বুঝলাম, বেচারি ভীষণ ভয় পেয়ে গেছে।আমি তাকে আদর করতে করতে হঠাৎ ভাবলাম, একে একটা ভয় দ্যাখালে কেমন হয়? নিজেই উত্তর দিলাম, ভীষণ ভাল হয়।আমি ভয়ংকর গলা করে বললাম, তাওসী,আমি ভূত!আমি তোমাকে খাব।তোমার মাংস ভেজে খাব, আর হাড়গুলো চিবিয়ে চিবিয়ে খাব।হি হি হি!
তাওসী ভীষণ ভয় পেয়ে আমার দিকে তাকাল। তার চোখে পানি জমে টলটল করছে,চোখের পাতা বন্ধ করামাত্রই তা গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়বে।তাওসী চোখের পাতা বন্ধ করছে না,চোখের জলে গালও ভিজছে না।সে আমার কোল থেকে নেমে দৌঁড়ে পালিয়ে গেল।ভূতের ভয় পেয়ে যে মামার কোলে সে আশ্রয় নিয়েছিল,সে মামাই এখন তাকে ভূতের ভয় দ্যাখাচ্ছে! এই মামার কোল এখন নিরাপদ নয়।ম্যাডাম খুব সম্ভব আমাকে বিশ্বাস করেই এসেছেন।তিনিও এখন তাওসীর মতোই ভয় পাচ্ছেন।তার বয়স তাওসীর মতো ২ বছর না।হয়তো কিছু কিছু ভয়ের কোনও বয়স থাকে না।
৩.
ম্যাডাম বিছানায় শুয়ে আছেন।আমি সিগারেট টানছি।তিনি তাতে বাঁধা দিচ্ছেন না। এর দুটা কারণ হতে পারে।এক: তিনি আমাকে ভয় পাচ্ছেন। দুই: এই তিনদিন আমাদের অনেক কিছুই ছাড় দিয়ে চলতে হবে।এবং তিনি ধূমপায়ীকে অন্য সবার মতো কুলাঙ্গার ভাবেন না।
আমি ম্যাডামের পাশে এসে বসলাম।হাসার চেষ্টা করতে করতে বললাম, আপনার কোনও ছোটবোন নাই?
ভেবেছিলাম, তিনি তিক্ত গলায় বলবেন,কুলাঙ্গারের বাচ্চা! তোকে বলছিলাম না,বাসায় শুধু আমি আর আমার মা থাকি।
কিন্তু তিনি নরম গলায় বললেন, না।আমার কোনও ভাইবোন নেই।
আমি গম্ভীর গলায় বললাম,আপনার বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়েছে কখন?
আমি যখন ক্লাস নাইনে ছিলাম।
আপনার বাবা তো আরেকটা শাদি করেছেন,তাই না?
হুমম।হাজার হোক পুরুষ মানুষ।
আপনার মা করেন নি?
না।তিনি বাবার মতো না।
বাবার শাদিতে দাওয়াত পেয়েছিলেন?
ম্যাডাম বিরক্ত গলায় বললেন,অন্যকিছু বল।
আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম।ম্যাডামের দিকে তাকালাম।তিনি তার কোলের দিকে তাকিয়ে আছেন।তাকে দ্যাখে মনে হচ্ছে,বাবা-মা জোড় করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, আর তার অপদার্থ প্রেমিক কিছুই করতে পারছে না।আমি গম্ভীর গলায় বললাম, আপনার একটা ছোটবোন ছিল।ক্লাস থ্রি-তে পড়তো।একটা এক্সিডেন্টে সে মারা যায়।আমি কি ঠিক বলছি?
ম্যাডাম হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকালেন।আমার কথা তার বিশ্বাস হচ্ছে না।তার চোখে অবিশ্বাসের ছাপ।অথচ তিনি অবিশ্বাসের কিছু দ্যাখছেন না,অবিশ্বাসের কথা শুনছেন।সৃষ্টিকর্তা আমাদের কানকে চমকে উঠা বা অবিশ্বাসে বিশ্বাসীত হওয়ার কোনও ছাপ প্রদর্শনের সুযোগ দেন নি।এই সুযোগ চোখ পেয়েছে।সৃষ্টিকর্তা যেহেতু সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছেন,সেহেতু, মেডিকেল সায়েন্স বলছে,একজন মৃত্যু পথযাত্রীর সর্বপ্রথম যে অঙ্গের মৃত্যু ঘটে তা হল, চক্ষু। এবং সর্বশেষ যে অঙ্গের মৃত্যু ঘটে তা হল, কান।(এখানে অনেকে 'মস্তিষ্ক' বলে থাকেন।অনেকে বলেন 'কান'। তাই হালকা মতবিরোধ আছে।)
ম্যাডাম অবাক গলায় বললেন, তুমি কার কাছ থেকে শুনেছো?
আমার খুব ঘুম পাচ্ছে। আমি ঘুমুবার আয়োজন করতে করতে বললাম, ঘুমান।রাত প্রায় দুটা বাজতে চলল।
আমি শুয়ে আছি।ম্যাডাম নিশ্চয়ই এখনও আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন।উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন।এ পৃথিবীর সবাই কিছু না কিছু খোঁজার চেষ্টায় ব্যস্ত।পাঁচ মিনিট পর যাঁর ফাঁসি হবে,সেও অসম্ভব ভাবে বেঁচে যাওয়ার পথ খুঁজবে।
পাশের রুমে হৈ চৈ হচ্ছে।একটু আগে একটা পার্টি গান চলছিল। এখন একটা বিদঘুটে গান চলছে 'তুমি দিও নাকো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া,আমি অন্ধকারের বদ্ধ ঘরে যাব মরিয়া...' কোনও মানে হয় এসব গানের? একজন চিৎকার দিয়ে বলছে,বাতি নিভাই দে।দ্যাখি কি শুরু হয়।বাকিগুলো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল,যেন এর থেকে হাসির কথা মায়ের পেট থেকে বের হওয়ার পর আর শুনে নি।আমার খুব রাগ হচ্ছে।ঠাসিয়ে চড় লাগিয়ে আসতে ইচ্ছে করছে।আসলে সত্যটা হচ্ছে,আমি যদি ওখানে থাকতাম, তবে আমিও তেমনটি করতাম।আমার ওদের উপর রাগ হচ্ছে না।আমি এই আনন্দপুরে নেই বলে আমার রাগ হচ্ছে; আমারই উপর।
পরদিন সকাল।আমি ইডিয়টের মতো ঘুমাচ্ছি।ম্যাডাম রুমের বাইরে এলেন।ঠিক তখনি পাশের রুম থেকেও একটা ছেলে বের হলো।ম্যাডাম তারদিকে হাসিমুখে তাকিয়ে বললেন,তোমার নাম?
ছেলেটা হতভম্ব হয়ে গেল।তার মতো একটা ছেলেকে কোনও সুন্দরী নাম জিজ্ঞেস করবে -তা হয় না।নিশ্চয় এখানে কোনও স্বার্থ আছে।ছেলেটা বলল,আবীর।
তোমরা কি বেড়াতে এসেছো?
জি।
আসলে তুমি তো জানই তাও আবার বলছি।আমি একজন প্রফেসর। আর ইমু আমার ছাত্র। আমি নাহয় একটা ভুলভাল চ্যালেঞ্জ নিয়েই ফেলেছি।তাতে ওর এত সিরিয়াস হয়ে যেতে হবে...?একা তো আসে নি,বন্ধু বান্ধব নিয়ে এসেছে।তবে ও এখন পর্যন্ত আমার সাথে কিছু করে নি।কিন্তু, পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস করতে নেই।
আবীর অবাকচোখে ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে আছে।কি বলবে বুঝতে পারছে না।সে তার কণ্ঠস্বর যথেষ্ট স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে বলল,আচ্ছা ম্যাম, আপনি বোধহয় কোথাও ভুল করছেন।ইমু নামের কাওকেই আমি বা আমার বন্ধুরা চিনে না।আমরা বরগুনা থেকে এসেছি।আমাদের কেও নিয়ে আসে নি।
.....
.........(চলবে )...........
0 Comments
Thanks for your valuable comment. We will be back soon.
Thank you 😊😊😊