|
golpo-ghar.blogspot.com
|
#পর্ব-৭
রাহির দেহটা দু খণ্ডিত হয়ে পরে আছে। মলিন ভাবে তার চোখ গুলো আমার দিক তাকিয়ে আছে। আজ আমার জন্য রাহি আমাকে ছেড়ে পরপারে পারি জমাবে কখনো কল্পনা ভাবি নি। নিস্তব্ধ হয়ে আছে পুরো বিয়ে বাড়ি। যেখানে হাসির আনন্দ ভাসছিলো পুরো বাড়ি সেখানে মূহুর্তের মধ্যে কান্নায় ভেসে পরলো।
হঠাৎ সেই পিন কোডের কথা মনে পড়লো। তাৎক্ষণিক মধ্যে বের হয়ে আসবো পিছন থেকে কে যেনো আমার নাম নিয়ে ডাক দিলো। পিছন তাকাতে দেখি মৌ।
- কোথায় যাচ্ছেন আপনি?
- আমার এই রহস্য যেভাবে হোক খুঁজে বের করতে হবে। তুমি এইখানে থাকবে যতক্ষণ না আমি আসি।
- আমি আপনার সাথে যেতে চাই।
- তোমার মাথায় কি সমস্যা আছে? তুমি একটা বার ভেবে দেখছ? কি হচ্ছে এইসব একের পর এক খুন ধীরে ধীরে আমার পাশের মানুষ গুলো আমার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে যেখান থেকে চাইলেও আর ফিরতে পারবে না।
- আমি আপনার সাথে বাঁচতে চাই যেমন ঠিক বিপদে ও পাশে থাকতে চাই।
- তোমার যা ভালো মনে হয় তাই করো কিন্তু আমাকে বিরক্ত করলে খুব খারাপ হবে।
- কথা না বাড়িয়ে চলেন।
আমরা দু'জন চললাম রহস্য খুঁজার জন্য। ছাঁদের উপর থেকে রাহির দু খণ্ডিত দেহটা নিচে নিয়ে আসে। আমি চললাম গতকালের সেই জায়গা যেখানে হয়তো অনেক কিছু লুকিয়ে আছে ওখানে গেলে পেতে পারি পিন কোডের রহস্য। ৩০ মিনিটের ভিতরে পৌঁছে গেলাম গোপনীয় জায়গা। মৌ কে বলে দিলাম এক জায়গা দাড়িয়ে থাকতে। আমি খুজতেছিলাম গতকাল রবিনের লাশ যেখানে পড়েছিল আশেপাশে কিছু ছিলো কি না। মৌ দেখছি আশে-পাশে কিছু খুঁজে যাচ্ছে। হঠাৎ নজর পড়ল একটা ছোট্ট ছিদ্র।
গম্ভীর ভাব নিয়ে সামনে পা বাড়াতে লাগলাম হঠাৎ মৌ চিৎকার করে বলল,,
- এইখানে একটা নাম্বার।
- কিসের নাম্বার?
- ৩২১৪৫৬
- কি।
দৌড়ে এসে দেখলাম এইখানে পিন কোডের নাম্বার আঁকা আছে। হাত দিয়ে ছুঁতে দেখতে পেলাম এইটা মুছে যাচ্ছে। হঠাৎ এমন কিছু দেখে অবাক হয়ে গেলাম। লেখাটা যদি অনেক পুরনো হতো তাহলে অবশ্যই এইটা সাথে সাথে মুছে যাওয়ার কথা না। তবে কি এখানে কেউ এসেছিলো। এইখানে তো আমাদের টিম ছাড়া আর কেউ যানে না শুধু একজন ওই জানতো আর সে হচ্ছে রাহি। রাহির দেহ নিথর হয়ে পরে আছে দু খণ্ডিত হয়ে। তাহলে কে বা এই কাজ করতে পারে?
আশেপাশে কিছু খুঁজার চেষ্টা হঠাৎ দেখতে পেলাম একটা নতুন কলম যা দিয়ে মনে হচ্ছে সধ্য লিখেছে। আমার নজর পড়ার পর পর মৌ দেখলাম কলমটা হাতে নিয়ে নিলো। মৌ কে ধমক স্বরে বললাম,,
- কি করলা এইটা?
- কি করেছে? কলমটা সুন্দর ছিল তাই হাতে নিয়েছি।
- এইইইইইইইইইইই তোমার কি মাথায় সমস্যা আছে?
- এইভাবে কেনো বলছেন?
- থাপ্পড় খেয়েছ কখনো? মাথায় গিলু আছে?
এইদিক দিয়ে আমার প্রানের বন্ধু টা কে মেরে চলে গেলো আর তুমি এইসব কি করছ? কলমটা দিয়ে যে লিখেছে অবশ্যই ফিঙ্গার প্রিন্ট ছিলো। আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছি তোমাকে বিয়ে করে।
- কি বললেন?
- ঠিকই বলেছি! কেনো যে তোমাকে এখানে নিয়ে আসলাম। তোমার সাথে থাকতে থাকতে আমি ও একদিন পাগল হয়ে যাবো।
- আপনি এইটা বলতে পারলেন আমাকে?
মৌ কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে যাচ্ছে। তা দেখে আমার মেজাজ প্রতিনিয়ত খারাপ হচ্ছে। তারপর রাগে বললাম এখান থেকে সোজা বের হয়ো যাও আর এই ন্যাকামো আমার সামনে করলে সত্যি আমি থাপ্পড় দিতো একবার ও ভাববো না। যাও বলতেছি এইখান থেকে। আমার উচ্চ স্বরে কথা শুনে মৌ হাউমাউ করে কেঁদে দিলো। কাঁদতে কাঁদতে সোজা বের হয়ে গেলো। হঠাৎ চোখে পড়লো ছিদ্র পাশে কি যানি লিখা। সামনে গিয়ে দেখার পর কিছুই বুঝতে পারলাম না এতোটা ছোটো লিখা এর আগে কখনো দেখি নি। ছিদ্র পাশে অনেক ধুলাবালি থাকার কারনে যেই হাতটা বাড়ালাম পরিষ্কার করার জন্য। হঠাৎ একটা চিৎকারের শব্দ শুনতে পেলাম। শব্দটা কে গুরুত্ব না দিয়ে আবার পরিষ্কার করতে হাতে টা ছিদ্র কে ছুঁতে না ছুঁতে একটা বিকট শব্দ হলো। ছিদ্র সামনে থেকে দূরে চলে আসলাম। হঠাৎ আকস্মিকভাবে কি দেখলাম আমার চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি এতোদিন যাবত জানতাম ওই না যে এর নিচে ও রুম আছে। তা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। অবাক দৃষ্টিতে সামনে গিয়ে নিচে তাকালাম।
অনেক অন্ধকার কিছুই দেখা যাচ্ছে না হাতের মোবাইল টা মধ্যে যতটুকু আলো ছিলো সেই আলো টুকু নিয়ে নিচে নামতে যাবো ঠিক তখনই আমার পায়ের শব্দ হতে না হতে একটা লাইট আচমকা জ্বলে উঠলো। তা দেখে একটু বিচলিত হলাম। হাতের মোবাইলের আলো বন্ধ করে পা দিয়ে নিচে নামছি এ যে-মন সিঁড়ি উপর থেকে নিচে যাওয়ার জন্যই হয়েছে। এক পা দু পা করে নিচে নিচে নেমে যাচ্ছি হঠাৎ সিঁড়ি অন্তিম হয়েছে। আবার পা নিচে রাখতে আচমকা অবাক করার মতো আলো জ্বলে উঠলো। কি অদ্ভুত ব্যাপার যেখানে অন্ধকার সেখানে পা রাখতে না রাখতে আচমকা আলো দিচ্ছে। সামনের উদ্দেশ্য হাঁটতে লাগলাম। সামনে যেতে না যেতে দেখতে পেলাম অনেক আলো যা চোখে সরাসরি দেখা যাচ্ছে না। তাই চোখ বন্ধ করে সামনের দিক চলতে লাগলাম।
সামনে যেতে না যেতে অন্ধকার হয়ে গেলো সব কিছু। সামনে কি আছে না আছে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অন্ধকার সামনে হাত বাড়াতে উচ্চ শব্দে বলে উঠলো"স্বাগতম "। অদ্ভুত এই শব্দ শুনে কিছুটা বিব্রতকর বোধ করলাম। রাহি কে ছাড়া এই প্রথম এতো সাহস পাচ্ছি কারন টা হয়তো রাহি,যে-ভাবে হোক আমি তার হত্যাকারি কে ছাড়বো না। যে রাহিকে মেরেছে তারে এতোগুলো ছিদ্র করব যে মৃত্যুর আগে নিজের দিক তাকিয়ে ভয়ে মরে যাবে। তারপর ও সাহস করে সামনে পা বাড়াতে চারদিকে জ্বলে উঠলো আমার চেহারা। একশত-এর উপর ডেস্কটপে আমার ছবি ভেসে ওঠে। কারন আমি যেখানে দাড়িয়ে আছি সেখান সি সি ক্যামেরা আবদ্ধ। সব কিছু দেখা যাচ্ছে। পুরো রুম টা গ্লাস দিয়ে আবদ্ধ। হঠাৎ ডেস্কটপে আমার চেহারা পরিবর্তে ভয়ানক মাস্ক পড়া একজন হাজির। আমাকে দেখে জোরেসোরে একটা অদ্ভুত হাসি দিয়ে বলল,,,
- রাসেদ এই প্রথম কেউ আমার জায়গা আসতে পারলো। এই গোপনীয় জায়গা মাত্র তিনজনই জানে।
- কে তুই? তুই আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু কে নির্মম ভাবে মেরেছিস। রাহির কসম খেয়ে বললাম তোরে আমি এমন ভাবে মারবো তোর শরীর তুই নিজে দেখে ভয় পাবি। কোথায় তুই একবার বল?
- হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা,,,, ২০২০ সালে সেরা জোক ছিলো। খুব দয়া হচ্ছে তোর জন্য তোর সামনে তোর বন্ধু কে মেরে ফেললাম আর অথচ তুই কিছু করতে পারলি না। ছি ছি তুই নাকি একজন সাহসী পুলিশ। খুঁজে বার করে পারলে আমার একটা চুল ছিঁড়ে দেখাস।
- সামনে থাকলে বুঝতি কি করতে পারি আমি।
তুই যেখানে লুকিয়ে থাকিস না কেন এখানে যেহেতু এসেই পড়েছি তাহলে অবশ্যই তোরে খুঁজে বের করব।
- তুই আমার ইয়ে পারবি। আমি তোর বিয়ের সময় তোর পাশে বসা ছিলাম কই তখন তো কিছুই করতে পারলি না। তোর এই হুমকি শুনে কি ভয় পাবো নাকি কাঁদব বুঝতে পারছি না এইভাবে কনফিউজড করিস না আমায়। সত্যি যদি করোনা না হতো তাহলে তোরে নোবেলজয়ী করে পুরস্কার বিতরণ করতাম। তোর ভাগ্য টা খুব খারাপ। এই ধরনের হুমকি তোর মুখে মানায় না। কিন্তু এইটা সত্য সবশেষে তোকে এমনভাবে মারব যে তুই নিজেকে দেখে মরতে যাবি কিন্তু সেইটা তো এতো সহজে হতে দিবো না। তোরে তিলে তিলে মারব।
খুব রাগ হচ্ছে তার কথা গুলো শুনে। হাতের সামনে একটা লোহার চেয়ার ছিলো সাথে সাথে ক্যামেরা মধ্যে ছুঁড়ে মারলাম। মূহুর্তের মধ্যে ঝাপসা হয়ে গেলো সব ডেস্কটপ গুলো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তারপর রুমে কিছু ক্লু খুঁজার চেষ্টা। হঠাৎ একটা উচ্চ স্বরে বলতে লাগলো ১০০,৯৯,৯৮, এইভাবে বলে যাচ্ছে। সামনে তাকিয়ে দেখি উপরের যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে সময় মতো না পৌঁছাতে পারলে।
তারাহুরো করে ক্লু খুঁজার চেষ্টা করছি। কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। আর ওই দিক দিয়ে ৭৯,৭৮,বলে যাচ্ছে। এইখান থেকে না বের হতে পারলে রাহির প্রতিশোধ আমি নিতে পারবো না যেভাবে হোক খুঁজে বের করতে হবে রাহির হত্যাকারী কে। তাই আর কিছু না ভেবে উপরে চলে আসার জন্য পা বাড়াতে যাবো ঠিক তখনই নজর পড়ল এক কোনায় একটা ফ্রেম।
ওইটা হাতে নিয়ে দূত গামী পা বাড়ালাম। ধীরে ধীরে সব অন্ধকার হয়ে আসছে ছোট একটা আলো উপর থেকে আসছে সেই আলোর উদ্দেশ্য দৌড়াতে লাগলাম আর উচ্চ স্বরে বলছে ৫,৪,৩ যেই সিঁড়ি তে পা দিলাম মূহুর্তের মধ্যে সব অন্ধকার হয়ে গেলো। আর কিছুই দেখতে পারলাম না। হয়তো হেরে গেছি পকেটে হাত দিতে দেখতে পেলাম মোবাইল নাই। এই অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না। সবকিছু শেষ হয়ে গেলো।
ঠিক তখনই উপর থেকে একটু একটু আলো আসছে আর কে যেনো বলছে ভয় পাবেন না। সাহস রাখুন আর পা বাড়ানোর চেষ্টা করুন সাবধানে। পরিচিত কন্ঠ ভেসে আসছে মৌ উচ্চস্বরে বলে যাচ্ছে আপনি উপরে উঠে আসেন আমি আর পারছি না ধরে রাখতে জলদি আসেন। তারাহুরো করে উপরে উঠতে লাগলাম। তারাহুরো করতে গিয়ে অন্ধকারে পা বাড়াতে ভুল জায়গা পা বাড়াতে গিয়ে নিচে অন্ধকারে পরে গেলাম। পরে যাওয়ার শব্দ শুনে মৌ চিৎকার করে বলল আপনি একদম ভয় পাবেন না আমি চেষ্টা করছি আপনি আবার উঠার চেষ্টা করুন।
কিন্তু উঠতে গিয়ে দেখি বাম হাত ব্যাথা করছে। বাম হাতের ব্যাথা সহ্য হচ্ছে না এক হাতে ভর দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করছি আর মুখে ফ্রেম টা নিয়ে। এক পা দু পা করে উপরে উঠে আসলাম। উপরে উঠে জোরে শ্বাস নিচ্ছি। মৌ আমার দিক তাকিয়ে বলল,,
- ব্যাথা পেয়েছেন?
- তেমন বেশি না বাম হাতে ব্যাথা পেয়েছি। কিন্তু তুমি জানলা কি করে যে আমি নিচে?
- আপনি যখন বলেছেন চলে যেতে তখন বাহিরে গিয়ে একটা জোরে চিৎকার দিলাম ভাবলাম হয়তো ভয় পেয়ে আসবেন যে কি না কি হয়েছে তা ভেবে। কিন্তু কে শুনে আমার চিৎকারের শব্দ।
- তোমার ন্যাকামো আর যাবে না?
- আজ আমি না থাকলে তো বুঝতেন!
- তোমার জায়গা রাহি থাকলে,,
রাহির কথা বলে থমকে গেলাম। চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো। রাহি সবসময় আমার পাশে থাকতো আজ আমার পাশে হয়তো ঘুরঘুর করছে কিন্তু আমি দেখছি না। রাহি কে ছাড়া একদম শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে কেন যানি। মৌ আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে,,
- একটা কথা বলি?
- হুম!
- আমি আজ থেকে আপনার দু'জন।
১) আপনার প্রিয় রাহি..
২) আপনার স্ত্রী।
আজ আপনার সাথে যখন এখানে এসেছি তখন স্ত্রী হয়ে এসেছিলাম। কিন্তু তখন ও জানতাম না যে কিভাবে আপনাকে এইসব থেকে দূরে রাখা যায়। তাই আপনাকে বিবৃত করার জন্য এসেছিলাম। আপনি যখন লেখা টা দেখেছিলেন এইটা আমি লিখেছি আর আপনাকে বলেছি দেখেন এখানে নাম্বার।
- কি? তুমি এমনটা করেছ? তুমি কিভাবে পারলে?
- সরি আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে মাফ করে দেন আমি আপনাকে এইসব থেকে দূরে রাখার বৃথা চেষ্টা করেছি কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যা করছি সব ভুল ছিলো।
- কিন্তু এই পিন কোড তো শুধু আমি জানতাম আর আমার টিম তুমি জানলে কি করে?
- রাহি ভাইয়ার কাছ থেকে শুনেছি। গ্রামে যাওয়ার আগে আপনি নাকি রাতে বিয়ার খেয়ে রাহির সাথে এই পিন কোডের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারপর আমাকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য যখন রাহি ভাইয়াকে পাঠাইলেন তখনই আমি বুঝতে পারলাম কিছু তো একটা সমস্যা হয়েছে তাই রাহি ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম অনেক রিকোয়েস্ট করার পর বলেছে। আমি আগে থেকে জানতাম যে আপনি গ্রামে যাবেন তাই মামী কে বলে রেখেছি যে আপনি গেলে যেনো একটু দুষ্টুমি করে বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখে।
- তার মানে তুমি সব জানতা?
- হুম
- এই কারনে তোমাকে বলি এতো ন্যাকামো করো।
- সরি আজ থেকে আর এমন করব না। আজ থেকে আমি আর আপনি রাহি ভাইয়ার খুনী কে খুঁজে বের করব প্রমিজ।
- ধন্যবাদ আমাকে বাঁচানোর জন্য।
কথাটা রোবোটিক ভাবে বলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম৷ হঠাৎ মনে পড়লো ফটো ফ্রেম এর কথা। নিচে তাকাতে দেখলাম ফ্রেম টা উল্টো হয়ে আছে তখন মৌ কে বললাম আজ থেকে রাহির মতো আচরণ করবা আমাকে তুমি করে বলবা আর আমি যা বলি তাই করবা। কাজের সময় একটু ফাজলামো করবা তো রাহি কে যেভাবে থাপ্পড় দিতাম ঠিক একইভাবে দিবো। মৌ আমার কথার সাথে মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে যাচ্ছে। মৌ কে বললাম ফ্রেম টা নিচ থেকে তুলে আমার হাতে দেউ। মৌ কথার সাথে সাথে নিচ থেকে ফটো আমার হাতে দিলো। হাতে নিয়ে সোজা করে দেখতে চোখ যেনো কপালে উঠে গেলো। নিজের চোখ কে বিশ্বাস হচ্ছে না। মৌ কে ফটো দেখানোর সাথে সাথে মৌ চমকে উঠলো। এইটা কিভাবে সম্ভব এ-ই তো দেখছি মৌ এর বাবার ফটো।
আমাদের দু'জনের বিশ্বাস হচ্ছে না। ফটো টা নিয়ে সাথে সাথে বাহিরে বের হয়ে গাড়ি করে চললাম মৌ এর বাড়ি। বাড়ির সবাই যেনো আমাদের জন্যই অপেক্ষা করছে। ছবির ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখলাম সামনে যেতে না যেতে মৌ এর বাবা ছুটে আসলো।
- বাবা কি থেকে কি হয়ে গেলো। এইদিক দিয়ে রাহি কে মেরে ফেললো তোমরা দু'জন ও চলে গেলে কোথায়। খুব ভয় লাগছিলো। কিছু কি পেয়েছ?
- জ্বি না আংকেল কিছুই পাই নাই। তবে মনে হচ্ছে অতি জলদি পেয়ে যাবো। চলেন রাহি কে জানযা দিয়ে কবর দিতে হবে।
- হ্যাঁ বাবা চলো।
রাহির বাবা- মা রাহিকে জড়িয়ে ধরে কান্না ভেঙ্গে পরছে। রাহির মা আমাকে দেখে চিৎকার দিয়ে বলল,,
- ওরে রাসেদ আমার ছেলের কি হয়ে গেলো? কথা বলে না আমার সাথে। তুই একটু ওরে বল না কথা বলতে তোর কথা ঠিকই শুনবে।
আন্টির কথা শুনে চোখ দিয়ে টলমল করে পানি চলে আসলো। আন্টিকে বুঝিয়ে বললাম রাহির প্রতিশোধ নিবো মা। আজ থেকে আমার মা-বাবা দুই জন। আমি রাহির কসম খেয়ে বললাম ওই কুত্তার বাচ্চারে এর চাইতে নৃশংসভাবে মারবো মা।
কয়েক ঘন্টার পর রাহিকে কবর দিয়ে চলে আসলাম। মৌ আমাকে বারবার বলছে আমার বাবা কখনো এমন করতে পারে না।
চলবে.....
0 Comments
Thanks for your valuable comment. We will be back soon.
Thank you 😊😊😊