#অন্তিম পর্ব
মৌ একটু ও ভয় পাইবা না আর হে তোমার নূপুরে আমি ছোট একটা ডিভাইস দিয়ে দিছি তুমি হাঁটতে থাকো।
কথাটা শেষ করতে না করতে মৌ এর কল কেটে গেলো। আমি রেস্তোরাঁ থেকে উঠে আংকেল কে বললাম আপনি বাসায় গিয়ে আন্টিকে দেখেন। আমি মৌ এর কাছে যাচ্ছি কয়েকঘন্টার ভিতরে আপনার সামনে থাকবো আমরা ইনশাআল্লাহ।
রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে দেখি আশেপাশে কোনো গাড়ি আছে কি না। কিন্তু কোথাও কিছু না দেখতে পেয়ে দৌড়াতে শুরু করি৷ অনেক টা পথ দৌড়ে এসে আর কিছু উপায় না পেয়ে সামনে একটা সাইকেল দেখতে পাই। ওই সাইকেল নিয়ে চললাম। যেখানে যেখানে ডিভাইস টা যাচ্ছে সেখানে ফলো করছি। শহরে পেরিয়ে একটা ছোট্ট ঘর দেখলাম সেখানে ডিভাইস সংকেত দেখাচ্ছে সামনে গিয়ে এর পিছনে অনেক টা বড় জংগলের মতো বড় বড় গাছ গুলো দাড়িয়ে আছে। যদি কেউ গাছের নিচ দিয়ে যায় তাহলে মানুষদের মানুষ মনে হবে না বরংচ পিপড়াদের দল ভাবতে হবে এতো ছোট দেখা যাচ্ছে।
এক পা দু পা করে ডিভাইস সংকেত যে দিকে পাচ্ছি সেই দিকে পা বাড়াচ্ছি। এ যেনো মনে হচ্ছে আমি কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ একটা চিৎকার শব্দ কানে ভেসে আসলো। চারদিকে শূন্য হয়ে পরে আছে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। হঠাৎ সামনে দেখতে পাই একটা মস্ত বড় ভবন। শহর থেকে এতো দূরে গভীর জঙ্গলে মাঝে মস্ত বড় ভবন। ডিভাইস এর সংকেত ওই ভবন থেকে আসছে। সামনে যেতে দেখি পুরো এড়িয়ে জুড়ে IT সিস্টেম এমন ভাবে করে রেখেছে যে যদি বাড়ির ১০ মিটার দূরে ও থাকে তাহলে ভিতরে যারা আছে তারা মূহুর্তের মধ্যে বুঝতে পারবে।
খুনী তাহলে খুব সর্তকের মধ্যে এই কাজ গুলো করছে। আর এমন ইন্টেলিজেন্ট মাথা নিয়ে সে একের পর এক খুন করে যাচ্ছে কেনো? এখন যেভাবে হোক আমাকে ভিতরে যেতে হবে। ভিতরে যাওয়ার একটাই উপায় আছে আর সেইটা হচ্ছে যে-ই দিক দিয়ে যেতে হবে সেখানে দেহের একটা অংশ রেখে যেতে হবে তাহলে বুঝতে পারবে না। এখন কোনো উপায় না পেয়ে আমার ভিতরে যেতে হলে আমাকে আমার দেহ থেকে একটা অংশ কেটে রেখে যেতে হবে।
বাধ্য হয়ে মুখে ভিতর টি-শার্ট টা বুঁজিয়ে দিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা কিন্তু শব্দ টা আমার কানে পৌঁছায় নি তাতে করে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলাম। মুখের মধ্যে টি-শার্ট বুজানো আর হাতে আঙ্গুল গুলো সোজা করে পকেটে থেকে ছোট ছুরি টা বের করে সাথে সাথে বাম হাতের আঙ্গুল টা কেটে ফেলে দিলাম। অসহ্য ব্যাথায় চিৎকার করতে লাগলাম। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ঝর্ণার মতো তারপর মুখ বুঁজে সহ্য করছি।এখানে আঙ্গুল টা ঝুলিয়ে রেখে চললাম ভবনের কাছে। গিয়ে দেখি সবগুলো রুমে শুধু লাল বাতি জ্বলানো।
রুম গুলো দেখতে খুব ভয়ানক ছিলো। চারদিকে লাল বাতি জ্বলানো কাউকে দেখা যাচ্ছে না, সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে। হঠাৎ আমার বাম পাশে থেকে একটা বিকট শব্দ কানে ভেসে আসে। ধীরে ধীরে পা বাড়িয়ে সেখানে গিয়ে দেখি মৌ কে বেধে রেখেছে তার পাশে দু'জন দাঁড়িয়ে। দু'জন কে দেখে কিছুটা সন্দেহ জাগে মনের ভিতর কারন তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে যে তারা টাকার জন্য এইসব করে কিন্তু তাদেরকে দিয়ে কে এইসব করাচ্ছে।
আমার নিশ্বাস হয় তো কারো কানে পৌঁছে গেছে কে যেনো বলে উঠলো উপরে কে? আমি জলদি করে অন্ধকারে একটা রুমে ঢুকে পরি।আশেপাশে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এই রুম টা থেকে দূর্গন্ধ আসছে তারপর ও চুপ করে দাড়িয়েছে।
শ্বাস-প্রশ্বাস ধীরে ধীরে নিচ্ছি ঠিক তখন আমার পায়ের একটা আঙ্গুলে উপর কি যানি পড়লো। শুধু একবার না বারবার টপটপ করে পড়ে যাচ্ছে। দরজার পাশে এসে কে যানি বলছে,,
- দেখি চল রুমে কেউ আছে কি না।
অন্যজন ধমক স্বরে বলল,,
- তোর কি মরার ভয় নাই তুই যানস এখানে কি আছে?
- নাহ,,,কি আছে?
- যাদের কে আমরা উঠিয়ে নিয়ে আসি তাদেরকে মেরে এখানে ওস্তাদ ফেলে রাখে।
- কি বলছ?
- হ্যাঁ,,, এখানে থেকে লাশ পঁচে যায়। কঙ্কাল হয়ে যায়।
- চল চল এইখান থেকে।
তারা দু'জন তারাহুরো করে নিচে নেমে গেছে।
আমি ধীরে ধীরে উপরের দিক তাকিয়ে দেখি মাথা ছাড়া একটা নিথর দেহ পরে আছে সেখান থেকে টপটপ করে রক্ত গুলো আমার পায়ে পড়ছে। আমি একটু ভয় পেয়ে দূরে গিয়ে দাড়ালাম। একটু দূরে গিয়ে বসে পড়লাম কিসের উপর যানি না তবে খুব শক্ত লাগছিলো। বসার পর বারবার কেন যানি মনে হচ্ছিল একটা মানুষের উপর বসে আছি। অন্ধকারে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না তাই পকেটে থেকে ছোট্ট লাইটার টা বের করে হালকা আলো জ্বলছে তা দিয়ে যেখানে বসে ছিলাম তা দেখতে গিয়ে যেনো আমি মূহুর্তের মধ্যে পিছনে চলে আসি।
এইটা কি দেখলাম বুকটা এখনো ধরফর করছে। আমার চারদিকে নিথর দেহ পড়ে আছে কারো মাথা নাই তো কারো দেহ নাই কিন্তু এখানে শুধু দেহের চামরা টা দিয়ে কি যেনো ঢেকে রেখেছে। দূর থেকে পূণরায় আবার দেখার চেষ্টা তা দেখে আমি আরো বিস্মিত এখানে একটা বড়সড় বাক্স যেখানে পিনকোড সিস্টেম করা৷ তা দেখে আমার ভিতরটা কেমন যানি ভয়ে ভয়ে হাত পা কাঁপছিল তাহলে কি "রবিন যে বলেছিল পিন কোডের রহস্য সত্যি সেইটা কি আমার সামনে। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না অনেক আগ্রহ বেড়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে বাক্স খুলার।
সাথে সাথে সামনে গিয়ে পিন কোড চাপলাম ৪৫৬৩২১ মূহুর্তের মধ্যে অবাক করে দিয়ে বাক্স টা খুলে গেলো। বাক্সটা যে-ই খুলব এমন সময় একটা চিৎকার শব্দ শুনতে পেলাম। বাক্স রেখে গিয়ে দেখি মৌ কে ওই দু'জন খুব অত্যাচার করছে ভালো করে তাকিয়ে দেখি মৌ এর ডান হাতের থেকে টপটপ করে রক্ত পড়ছে। আমি মূহুর্তের মধ্যে ধৈর্য্য শক্তি হারিয়ে ছুটলাম মৌ এর কাছে। আমার উপর কি যানি বার করল ক্ষনিক সময়ের মধ্যে দু'টি দেহ নিথর হয়ে পরে আছে।
মানে আমি যখন ধৈর্য শক্তি হারিয়ে মৌ এর কাছাকাছি যাবো ঠিক তখনই সামনে একটা রক্তমাখা ছুরি ছিলো সেইটা কে নিয়ে ২ জনকে ২ কুঁপে শরীর দু খণ্ডিত করে ফেললাম। যানি না কেন এমনটা করেছি শুধু এইটুকু যানি রাহির কথা ভেবে কিছুটা এখন স্বস্তি পাচ্ছি আমার কাছে কিছুই মনে হচ্ছে না।
মৌ আমার দিক ভয় ভয় নিয়ে তাকিয়ে আছে হয়তো কিছু বলার সাহস খুঁজে পাচ্ছে না। ঠিক তখনই অন্ধকার থেকে তালি বাজিয়ে আসছে।
কি যানি শব্দ করে বলে যাচ্ছে,,, অন্ধকার থেকে এই শব্দ গুলো ভেসে আসছে,,
- রাসেদ তুই ভালোই করেছিস তা না হলে পরে আমি আবার কষ্ট করে তোদের চারজন কে মারতে হতো।
- কে তুই আর কেনো এইসব করছিস?
- কেনো এইসব করছি জানতে চাস ঠিক আছে মৃত্যুর আগে তোর ইচ্ছে টা পূরন করার দায়িত্ব নিলাম। এখন পযন্ত ৩৫ টা মেয়েকে, ২২ টা ছেলেকে আর এখন তোরা ২ জন কে নিয়ে ৫৯ টা খুন হবে। যা আমার ভিতরে অনেকটা আনন্দ লাগছে। কেউ সেক্স করে কেউ টাকা পেয়ে আনন্দ পায় কিন্তু আমার শুধু রক্ত আর রক্ত মাখা শরীর সাথে থাকতে ইচ্ছে করে।
- তুই রাহি কে মেরেছিস কেনো?
- তুই আগে বল যদি তোর বাবার শরীরে কেউ আঘাত করে তুই কি করবি?
- মেরে ফেলবো।
- হা হা হা হা,, আমি ও মেরে ফেলবো বলি না সোজা মেরে ফেলেছি।
- রাহি কখনো কাউকে অকারণে মারে না৷
- মনে করে দেখ রাসেদ ভালো করে মনে কর তোর সামনে আমার বাবার গায়ে হাত দিয়েছে।
আমি তখন একটু বিচলিত হয়ে গেলাম। হঠাৎ মনে পড়লো রাহি আমার সামনে শুধু একজন কে মেরেছে আর সে হলো রবিন। রবিন কে যদি মেরে থাকে তাহলে কি আসামী রবিনের ছেলে। তার মানে শিমুল এখনো বেঁচে আছে।
- কে তুই শিমুল?
- আরে বোকা এক বাপের ঘরে কি একজনই ওই জন্মায়?
- তার মানে তুই?
- হ্যাঁ আমি শিমুলের বড় ভাই আর তোর খুব কাছের একজন মানুষ।
- কাছের মানুষ?
- শুন তাহলে,,,,, আমি হলাম সৃজন যাকে তুই এই মৌ এর জন্য আমার গালে থাপ্পড় দিয়েছিলি। সে-ই দিন মনে হয়েছিল তোকে মেরে ফেলি কিন্তু বাবার কাছ থেকে যখন শুনলাম তুই আমার ছোট ভাইটাকে ও মেরে ফেলেছিস তখনই তোর সাথে এই পিনকোড নিয়ে খেলা শুরু হয়ে যায়। আর তুই ভাবছিস আমার বাবা কে দিয়ে আমার বাবা কে খুন করেছিস আর সেইটা আমি জানবো না তুই সব ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছিলি কিন্তু বাবার দাঁতের পাশে ছোট্ট একটি ক্যামেরা ছিলো যখনই হাসি দিয়ে কথা বলেছে তখন সব কিছু দেখা গেছে। কিন্তু খুব কষ্ট হয়েছে বাবার শরীর থেকে ক্যামেরা টা বের করতে। বাবা যখন মরে যায় তখন ক্যামেরা সোজা মুখে ঢুকে পেটে চলে যায় আর আমি বাবার খুনের রহস্য জানার জন্য নিজ হাতে তার পুরো শরীর টা কেটে কেটে ছিন্ন বিছিন্ন করে ক্যামেরা টা বের করেছি খুব কষ্ট হয়েছে।
- তোর বাবা ছিলো জানোয়ার আর তুই তো তার সন্তান ওই,,, তুই তো জানোয়ার হবি। যে নিজের বাবার দেহ এইভাবে কেটে ফেলতে পারে তার থেকে আর কি আশা করা যায়।
হুট করে অন্ধকার থেকে একটা রক্ত মাখা ছুরি নিয়ে আমার সামনে হাজির সৃজন। তার পুরো শরীর রক্ত মেখে আছে শরীরে কিছুই নেই ছোট্ট একটা আন্ডারওয়্যার ছাড়া পুরো শরীর নগ্ন হয়ে আছে আর শরীর জুড়ে রক্ত মাখা। আমি মৌ কে দূরে সড়িয়ে আমার পকেটে থেকে ছোট্ট ছুরিটা বের করে তার সামনে দাড়িয়ে যাই। সৃজন আমার উপর বার বার আঘাত করার বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আর আমি সৃজন কে হয়রানি করার উপায় খুঁজে যাচ্ছি। বারবার আঘাতের মাঝে হঠাৎ সৃজন রক্ত মাখা ছুরিটা আমার শরীর একটা অংশে ছুয়ে যায় আর শরীর থেকে টপটপ করে রক্ত গুলো পড়ছে। ব্যাথায় খুব অসহ্য লাগছিলো।
মেজাজ ধীরে ধীরে যেনো আগুনের উত্তাপের মতো জ্বলে উঠছে। সৃজন যখন আবার আঘাত করতে আসে সাথে সাথে মাথা নিচু করে তার গলায় ছুরিটা বসিয়ে দেই। সৃজনের হাত থেকে মস্ত বড় ছুরিটা পরে যায়। সোজাসুজি সৃজন আমার দিক তাকিয়ে আছে। গলা থেকে ছুরিটা ফেলে বসে পড়লো। আমি মৌ কে বললাম একটা কাপড়ের ব্যবস্থা করো। মৌ তাৎক্ষণিকের ভিতরে কাপড় যোগাড় করে আমার হাতে দিলো। আমি সৃজনের সামনে গিয়ে তার গলায় কাপড় পেচিয়ে বললাম তুই এতো জলদি মরতে পারিস না চল উঠ।
সৃজন আমাকে মারার জন্য আবার উঠলো আর আমি তার রক্ত মাখা ছোট্ট ছুরিটা আমার হাতে নিয়ে তার পায়ের সামনে তার মস্ত বড় ছুরিটা এগিয়ে দিলাম। সৃজন কথা না বলে আমার উপর আবার আঘাত করার চেষ্টা এইবার সৃজনের পেটের মধ্যে একসাথে টানা চার চার বার ছুরিটা বসিয়ে টান দেয় এতে করে তার শরীর থেকে নাড়ীভুঁড়ি বের হয়ে আসে। রাগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে মৌ কি জোর গলায় বললাম আয়নার ব্যবস্থা করো।
মৌ তার পার্টস থেকে ছোট্ট আয়না টা বের করে আমার সামনে নিয়ে আসলো। আমি জোরে একটা হাসি দিয়ে সৃজনের উদ্দেশ্য বললাম তোর কপাল খারাপ ছোট্ট আয়নাটা কপালে জুটলো। আয়না টা সামনে নিয়ে তার মুখের দিক তুলে ধরলাম কিন্তু তার মুখ তো কিছুই হয় নাই বুঝবে কি করে যে তাকে কতটা ছিদ্র করেছি তাই পূনরায় আয়না টা রেখে মুখের মধ্যে টানা ২০ টা ছুরির আঘাত বসিয়ে দিয়েছি। তারপর আয়না টা মুখের সামনে ধরে বললাম দেখ তোর মুখটা কেমন কি রে দেখবি না চোখ বন্ধ কেনো তোর চোখ খুল বলতেছি।
মৌ আমাকে দেখে ভয়ে কাঁপতে লাগলো সৃজন কে কাঁধে করে নিয়ে সে ভয়ানক ঘরে ফেলে দিলাম। তারপর চলে আসার আগে বাক্সটার ভিতরে কি ছিলো তা দেখলাম প্রত্যেকটা মানুষ কে যে মেরেছে তাদের চোখ গুলো এখানে।
হাত দিয়ে নেড়ে দেখি এর নিচে অনেক গুলো হিরে সবগুলো ওখানে রেখে দরজা বন্ধ করে চলে এসেছি। মৌ কে নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসি। আমার পুরো শরীর কেটে আছে আঙ্গুল কেটে আছে পারিবারিক ডাক্তার এসে সবকিছু করে গেছে। দিন রাত মৌ আমাকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে আমার পাশে বসে কবিতার বই গল্পের বই পড়িয়ে পড়িয়ে শুনাচ্ছে। এইভাবে কেটে যায় ৯ টা দিন।
দশদিন পর মোবাইলে একটা টুং করে মেসেজ আসে।
হঠাৎ দেখি মোবাইলের স্কিনে ভেসে উঠলো মিশন রিং।
অদ্ভুত একটা নাম ভেসে আসলো হয়তো নতুন কোথাও নতুন কোনো স্যারের সাথে আবার কাজ করতে হবে।
দশদিন পর সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর মৌ এর পরিবার মৌ কে একবারে দিতে এসেছে আমাদের বাড়িতে এমনতে মৌ প্রতিদিন আমার পাশে থাকতো আয়োজন করে দেওয়ার জন্য হয়তো আসা। বাবা-মা সবাই মিলে একসাথে ভোজন করার পর মৌ এর বাবা চলে যাচ্ছে আর আমার আম্মু ও তাদেরকে এগিয়ে দিতে যাচ্ছে।
কিন্তু আমার বাবা আনমনে তাকিয়ে আছে মৌ এর মায়ের দিক আর মৌ এর আম্মু যেনো বাবার চোখের দিক তাকিয়ে হারিয়ে গেছে। কিছুই বুঝলাম না বুড়ো বয়সে কি ভালোবাসা জোয়ার এসে পড়লো আমাদের ঘরে। থাক পরিবারের রহস্য না হয় অন্য একদিন জানা যাবে।
মৌ এর বাবা মা চলে যাওয়ার ৫ মিনিট পর।
মৌ আমাকে জোর করে রুমে নিয়ে গেলো।
আমি বাধ্য ছেলের মতো রুমে ঢুকলাম আর মৌ দরজা বন্ধ করে দিলো। সব কিছু আবার যেনো অন্ধকার হয়ে গেলো। এই অন্ধকারের ফলাফল ১ টা বছর পর পেলাম আমাদের ঘরে ফুটফুটে ছোট্ট একটি ছেলে হয়েছে তার নাম অর্ক রাখা হয়েছে।
সমাপ্তি
বিঃদ্রঃ[ আশা করি গল্প টা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ইনশাল্লাহ আপনাদের সাপোর্ট থাকলে আরো ভালো কিছু দিতে পারবো। আপনারাই হচ্ছেন আমার অনূপ্রেরণা। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।]
পরবর্তী কি ধরনের গল্প চান একটু কষ্ট করে কমেন্ট বলে যাবেন প্লিজ।
0 Comments
Thanks for your valuable comment. We will be back soon.
Thank you 😊😊😊