পর্বঃ-৩
মৌ আমি ছাদে গেলাম তুমি খাওয়া দাওয়া শেষ করে ছাঁদে আসো। মৌ এই কথা শুনে আমার দিকে রাগী মুড নিয়ে তাকিয়ে আছে।
তখন আন্টি বলল বাবা তুমি যাও মৌ আসবে।
আমি আনমনে ছাঁদে চললাম পিছন পিছন মৌ আসছে। ছাঁদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে মৌ কে ভয় দেখাতে যাবো এর আগে এসে আমার কালার ধরে বলল,,,
- হচ্ছে টা কি?
- কোথায় কি হচ্ছে? আমাকে তো কেউ জানায় নি।
- আপনি জানেন না আমি কতটা রাগী?
- যানি না যেহেতু তাহলে জানিয়ে দেউ আমাকে।
মৌ রাগ নিয়ে কালার টা ছেড়ে দাঁত খিঁচিয়ে আমার দিক তাকিয়ে আছে,,,
- আচ্ছা আপনি কি বুঝতে পারছেন না?
- কি?
- এই ন্যাকোমা টা আমার কাছে ভালো লাগে না। আপনি ছেলে হয়ে এতো ন্যাকামো করেন কেনো?
- ঠিক আছে বাদ দিলাম ন্যাকামো।
- কেনো ডেকেছেন বলেন?
- আমার কিছু জানার ছিলো।
- এইখানে ও কি পুলিশের মতো তদন্ত করবেন?
- আরে নাহ। জাস্ট জানার ছিলো।
- কি জিজ্ঞেস করবেন করেন?
- আজকে সকালে আমাকে তুমি বলেছিলে, যে তোমার মামাতো ভাই শিমুল তোমার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক আছে। আমি শিমুলের ব্যাপার কিছু জানতে চাই।
- কি হিংসা হচ্ছে ? হবারই কথা কিছুদিন পর আপনার সাথে বিয়ে আর অামি অন্য ছেলের সাথে কথা বলি। থাক কষ্ট পাবেন না ঠিক হয়ে যাবে যখন দেখবেন প্রতিনিয়ত এমনটাই করি। আমি একটা উপদেশ দেই।
- কি উপদেশ?
- আপনি আমাকে বিয়ে করলে খুব বিপদে পড়বেন এর চাইতে ভালো কেটে পড়েন। ফ্রি তে উপদেশ দিলাম কোনো টাকা পয়সা ও লাগবে না।
আমার মেজাজ টা পুরো খারাপ হয়ে যাচ্ছিল তারপর ও মুখে রংঢং হাসি রেখে কথা বলছি মৌ এর সাথে। আমাকে শিমুলের ব্যাপারে যেভাবে হোক জানতে হবে। তারপর শান্ত মাথায় বললাম,
- তোমার উপদেশ খুব ভালো কিন্তু ফ্রি তে যা দেয় তা সব খারাপ কিংবা বৃথা জিনিস হয়।
- কি আমার উপদেশ খারাপ?
- আমি কোথায় বললাম যারা গল্প টা পড়ছে তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করো তাহলে বুঝতে পারবে যে ফ্রি তে দেওয়া জিনিসপত্র মূল্যহীন হয়ে থাকে।
মৌ এই কথা শুনে আমার দিক চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে। মৌ কে তারপর শান্ত ভাবে বললাম আমার কিছু তথ্য দরকার প্লিজ তুমি হেল্প করতে হবে আমাকে। মৌ রাগী ভাব নিয়ে ছাঁদ থেকে নিচে চলে গেলো। গিয়ে দরজা বন্ধ করে বসে রইলো।
পরে আমি নিচে নেমে আংকেল কে ডেকে জানালার পাশে নিয়ে আসলাম। কথটা বলার আগে ইতস্তত বোধ করছি তখন আংকেল বলল,,
- বাবা কি বলবা বলো নির্দ্বিধায় বলে ফেলো।
- আংকেল আপনাদের আত্মীয় একজনের কথা শুনেছি মৌ এর কাছ থেকে কিন্তু মৌ তো একটু রাগী পুরো কথা শেষ না করে চলে আসে সেজন্য আপনার সাথে কথা বলা।
- মৌ কার কথা বলছে?
- শিমুল নাকি মৌ এর মামাতো ভাই?
আংকেল মাথা নিচু করে চুপ করে রইলো জবাবে কিছুই বলছে না। আংকেলের চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। তার জবাব না পেয়ে আবার জিজ্ঞেস করলাম যখন সে বলবে তার আগে তার চোখে টলমল করছে পানিতে।
- আংকেল সরি আমি হয়তে আপনাকে কোনো খারাপ কিছু জিজ্ঞেস করলাম।
- নাহ বাবা তুমি যার কথা জিজ্ঞেস করেছ সে আমাদের সবার প্রিয় মানুষ ছিলো। সে আমার একমাত্র ছেলে ছিলো।
কথাটা শুনে রীতিমতো থমকে গেলাম। মৌ বলল তার মামাতো ভাই এখন আংকেল বলছে উনার ছেলে। ঠিক পরিষ্কার ভাবে কিছুই বুঝতে পারছি না পূণরায় আংকেল কে বললাম,
- মৌ তো বলল মামাতো ভাই।
- বাবা মৌ তার ভাইকে খুব ভালোবাসতো আর শিমুল ও তার বোনকে অনেক আদর করতো কিন্তু তার একটা খারাপ অভ্যেস ছিলো সবসময় সে নেশা আসক্ত থাকতো যখন নেশা আসক্ত থাকতো তখন কাউকে সন্মান দিতো না।
- তাহলে মৌ মামাতো ভাই বলল কেনো?
- তার কারন শিমুল ছোট থেকে বড় হয়েছে তার নানুর বাসায় সেখানে তার অনেক বন্ধু বান্ধব। সে বড় হওয়ার পর আমাদের সাথে থাকতো না ওই জায়গা থাকতো। তাই মৌ সবসময় বলতো তুই আমার ভাই না তুই তো আমার মামাতো ভাই। শিমুল মাঝে মাঝে এখানে আসতো ওইখানে বেশী থাকতো। ওইখান থেকে নেশা করা শিখেছে। একদিন বাড়িতে আসতেছিলো হঠাৎ কে যানি আমার শিমুল কে গুলি করে রাস্তায় মেরে ফেলে যায়।
- সরি আংকেল আমি সত্যিই জানতাম না এমন কিছু ঘটে গেছে।
- মৌ কি বলছে শিমুলের ব্যাপারে?
- মৌ বলেছিলো যে তার মামতো ভাইয়ের সাথে ঘুরছে এই দুই দিন।
- শিমুল মারা যাওয়ার পর মেয়েটা একটু এমন হয়ে গেছে মাঝে মাঝে এইরকম পাগলামি করে।
- আংকেল আমার কথায় কষ্ট পাবেন না প্লিজ।
- আরে নাহ কপালে যা ছিলো তাই হয়েছে।
- আচ্ছা আংকেল আজকে আসি পরে আবার আসবো।
- ঠিক আছে বাবা।
আমি চলে আসবো কিন্তু মৌ তারপরও রুম থেকে বের হলো না। কিছু না ভেবে চলে আসলাম। বাহিরে বের হয়ে কল দিলাম স্যার কে,,
- স্যার একটা কথা জানার ছিলো?
- হুম, কি বলো?
- স্যার আপনি যে কোডের কথা বলেছেন সেইটা তো মিথ্যা হতে পারে আর যে ছেলেকে আমি গুলি করেছি সে ও তো হীরা ব্যবসায়ী রবিনের ছেলে নাও হতে পারে।
- আমি যতটুকু রিসার্চ করে দেখলাম যে এইটা রবিনের ছেলে। তুমি আর একটা কথা শুনলে চমকে উঠবা।
- কি স্যার?
- রবিন কে আমরা কেউ দেখি নাই রবিন সবসময় যখন ভিডিও কনফারেন্স করতো আমাদের সাথে, শুধু তার হাত গুলো দেখা যেতো। তার ডান হাতে একটা Butterfly আঁকা ছবি আছে।
- স্যার একটা প্রশ্ন রবিন কনফারেন্স সবসময় কি বলতো?
- সে একটা খারাপ কাজ করার আগে বার্তা দিতো। মানে এক কথায় পুরো পুলিশ ফোর্স কে চ্যালেঞ্জ করতো।
- স্যার তাহলে অবশ্যই ভিডিও গুলো আছে আমি একবার সেই ভিডিও গুলো দেখতে চাই।
- অবশ্যই দেখবা তবে একটু সর্তক থেকো। আমি সময় মতো সৃজন কে দিয়ে তোমার বাসায় ভিডিও পাঠিয়ে দিবো।
- ওকে স্যার।
মাথা ঘুরছে শুধু এইটা ভেবে যে ওইদিন সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছি আমি। ওই দিন একসাথে দুইটা খুন করেছি তাহলে ওইটা ছিলো কে। আমাকে যেভাবে হোক জানতে হবে। ওইদিন রাতে যে দুইটা খুন হয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় নি বরংচ আগে থেকে জানতাম যে তাঁরা আসামী আর অন্ধকারের মধ্যে মেরে চলে এসেছি। পাবলিক চলে আসার কারনে মুখ না দেখে চলে আসলাম। তাহলে কি ওই দিন দুই জন খুন করার মধ্যে একজন রবিনের ছেলে ছিলো আর অন্য জন কে ছিলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রবিন ছেলের নাম শিমুল আবার মৌ এর ভাইয়ের নাম ও শিমুল তা তো হতে পারে না।
অবশ্যই এইখানে কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে আমার। যদি ও সন্দেহ হচ্ছে মৌ এর বাবা কে তাহলে মৌ এর বাবা আমার সাথে এতো ভালো আচরন কেনো করছে আর মৌ এর সাথে আমাকে কেনো বা বিয়ে দিবে। তাহলে কি মৌ এর বাবা আমার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে? যদি মৌ এর বাবা রবিন হয় তাহলে তো ট্যাটু থাকার কথা। মৌ এর বাবার হাতে কোনো ট্যাটু দেখলাম না।
ছয় নয় ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় পৌঁছাতে শুনি সৃজন বাসায় সিডি দিয়ে গিয়েছে। তারাহুরো করে রুমে গিয়ে ভিডিও দেখার জন্য বসলাম। যখনই ভিডিও শুরু হলো স্কেনে তখন ডান হাতের আঙ্গুলের উপরে দেখলাম একটা Butterfly ট্যাটু তখন আর বিশ্বাস না করে থাকতে পারলাম না তাহলে কি মৌ এর বাবা রবিন? যদি উনি রবিন হয় তাহলে আমাকে আজ ছেড়ে দেওয়ার কথা না। ঘন্টা খানিক বিশ্রাম করে আমার কাছের বন্ধু কে কল দিলাম আমার বাসার নিচে আসার জন্য।
আধঘন্টা পর আমার বন্ধু রাহি নিচে আসলো।
এসে আমাকে কল দিলো। আমি তৈরি হয়ে নিচে নামলাম সাথে দুটো কালো মুখোশ নিয়ে।
রাহি কে দেখে একটু বিস্মিত লাগছে দেখে মনে হচ্ছে খুব ভয়ের মধ্যে আছে। জিজ্ঞেস করলাম,,
- কি রে এইভাবে আছিস কেন? কোনো সমস্যা?
- তুই তো বড় সমস্যা।
- মানে?
- মানে টা সহজ তোর সাথে যদি আমাকে কেউ দেখে ফেলে তাহলে ভাববে আমি ও পুলিশ পরে একদিন দেখা যাবে তোর কারনে আমাকে মেরে ফেলবে। এখন বল কেনো ডেকেছিস?
- আগে এই মুখোশ টা পর আর আমার সাথে চুপচাপ আস কোনো কথা বলবি না।
- বন্ধু তুই কি কারো বাসায় চুরি করতে যাবি?
আমি একটু রাগী স্বরে বললাম,
- আমাকে দেখে কি তোর মতো লাগে?
- নাহ তো,,এই তুই কি বললি?
-কিছু না কথা বলবি না চুপচাপ পিছন পিছন আস।
১৫ মিনিট হাঁটার পর মৌ দের বাসায় এসে পৌঁছালাম। তখন ঠিক ১ঃ৩০ বাজবে। পুরো এলাকা নির্জন হয়ে আছে। আশেপাশে দেখলাম কেউ নাই। আস্তে করে দেয়াল টপকে চললাম পিছন তাকিয়ে দেখি রাহি নাই। আবার পিছনে এসে দেখি রাহি গেইটে ধাক্কাধাক্কি করছে,,
- এই কি করছিস?
- দেয়াল টপকে যাওয়ার কি দরকার এইখানে তো দারোয়ান বসে আছে তাঁকে বললে তো গেইট খুলে দেয় আবার তো আমরা আসবো একবারে বলে গেলে গেইট খুলে রাখবে।
মেজাজ গরম হওয়ার কথা নি? মেজাজ গরম না করে বললাম,
- শালা এইটা কি তোর বোনের বাড়ি যে আমাকে জামাই আদর করে ঢুকাবে? দেয়াল টপকে আয় জলদি এইখানে একটা তথ্য খুঁজার জন্য এসেছি।
- ঠান্ডা মাথায় বললেই তো হয় চিল্লাইয়া বললে তো দারোয়ান মামা উঠে জন্মের পিটানি দিবো।
- কথা না বাড়িয়ে জলদি পিছন পিছন আয়।
রাহি এখনো জানে না যে আমি মৌ কে পছন্দ করি আর এইটা মৌ দের বাসা। এই ব্যাপারে তাকে কিছু বলা হয় নি সময় হলে বলে দিবো।
চোরের মতো মিন মিন করে পা বাড়াচ্ছি গাছ বেয়ে দোতলায় উঠে যাই। তারপর রাহি দোতলায় আসে নিশ্চুপ ভাবে অন্ধকারে ওই রুমের পাশে যায়। ছোট একটা লাইট নিয়ে যাই রুমের সামনে এসে লাইট মারার পর দেখলাম এখনো পিঁপড়া আগমন নিগমন করছে। রাহি কে সাথে নিয়ে আসার কারন এখন বুঝতে পারবেন। সে যেকোনো তালা সহজে খুলে ফেলতে পারে। তাকে বললাম ধীরে ধীরে তালাটা খুলার জন্য। ঠিক তখনই রাহি আমাকে বার বার টিশার্ট ধরে টানছে,,
- এই কি হয়েছে?
- রাসেদ দেখ না কে যানি এইদিক আসতেছে। আমার খুব ভয় লাগতেছে দেখতে পেত্নীর মতো লাগতেছে।
আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি মৌ দিলাম তারে একটা ঘুষি।
- এইটা পেত্নী না তোর ভাবী.!
- ভাবি না ছাবি যানি না আমার ভয় লাগতেছে তুই কিছু একটা কর।
সামনে গিয়ে দেখি মৌ ঘুমের মধ্যে হাঁটছে হয়তো মৌ এর ঘুমের মধ্যে হাঁটা অভেস্য আছে। চোখ বন্ধ করে আছে মৌ তাকে এখন দেখতে খুব ভালোই লাগছিলো। সবসময় তো গুন্ডী মেয়ের মতো থাকে এখন একটা পিচ্চি মেয়ের মতো আনমনে হারিয়ে আছে কোথাও। মৌ চারদিকে গুরুপাক করে নিজের রুমে চলে গেলো। তার পিছন পিছন যেতে ইচ্ছে করছিলো তবে আজ না অন্য একদিন। ফিরে এসে দেখি রাহি হা করে তাকিয়ে আছে অন্যমনস্ক হয়ে।
বেচারা মৌ কে দেখে ৪৪০ বোল্টের শকড খেয়েছে। খাওয়ার কথায় মৌ মুখে কি যানি মেখে রেখেছিলো সাদা ময়দার মতো তাই দেখে হয়তো বেচারা থতমত খেয়ে গেছে। রাহি কে হুঁশে এনে বললাম জলদি তালা খুল।
তালা খুলে রাহি রুমে ঢুকলো সাথে আমি ও গেলাম রুমে এই কি এখানে মাকড়সার বাসার শেষ নেই। তাহলে মৌ এর কথা সত্য এই রুম অনেক দিন যাবত বন্ধ হয়ে আছে। হঠাৎ একটা ছবির দিক নজর গেলো সমানে গিয়ে দেখি একটা ছেলে ছবির নিচে আর্ট করে লেখা আমার প্রিয় ভাই। এইটা যে শিমুল বুঝতে আর দেরী হলো না। তার পাশে একটা ক্যামেরা পড়ে আছে। সাথে সাথে ক্যামেরা থেকে কার্ড টা বের করে পকেটে ঢুকিয়ে নিলাম। হঠাৎ রাহির দিক তাকিয়ে রিতীমত ভ্যাবাচেকা খেয়া যাই।
রাহির পাশে এইটা কি?
রাহি কে সড়িয়ে দেখি দুইটা কঙ্কাল। রাহি এতোক্ষণ যাবত এখানে বার দিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। যখন দেখলো যে এইগুলো কঙ্কাল রাহি মুহূর্তে মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায়। আমি চুপচাপ পুরো রুমটা দেখতে লাগলাম কি এইগুলো আর এইখানে বা কেনো কঙ্কাল রয়েছে। হঠাৎ পায়ের মধ্যে একটা পিঁপড়া আগমন বুঝতে পেরে বসে পরলাম দেখলাম সারিবদ্ধ হয়ে পিঁপড়া গুলো কঙ্কালের পিছনে আসা যাওয়া করছে লাইট মেরে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখি এইটা দেয়াল না তাহলে কি এইটা জানার জন্য যখন কঙ্কাল গুলো কে আলাদা করে দেখতে যাবো ঠিক তখনই দেয়াল আবছা টা সড়ে গিয়ে দরজার মতো খুলে গেলো। আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম গোপনীয় একটা রুম। লাইট জ্বালিয়ে রুমে প্রবেশ করতে দেখতে পারলাম চারদিকে মেয়েদের জামা কাপড় আর হাড্ডি পরে আছে। অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম এইগুলো কি?
তাহলে কি এইগুলোর ব্যাপারে মৌ কিংবা তার পরিবার কিছুই জানে না? নাকি তারা সবাই মিলে আমাকে বোকা বানাচ্ছে। হঠাৎ চোখ গেলো একটা ছবি তে যেখানে ৪ জনের ছবি একত্রে তার মধ্যে রুমে ঢুকে যে ছবি টা দেখেছি ৪ জনের মধ্যে ওই ছবিটা এইখানে ও আছে তাহলে এই তিনজন হচ্ছে শিমুলের বন্ধু। ছবির পাশে একটা সাদা চিরকুট দেখা যাচ্ছে হাতে নিয়ে দেখলাম কিছু একটা লেখা আছে।
আমি শিমুল,
যে এই চিরকুট পাবেন হয়তো তখন আমি এই পৃথিবীতে থাকবো না তবে এই রুমে যা হয়েছে তার জন্য আমি দায়ি না আমার বন্ধু এইসব করেছে।
চিরকুটে আর কিছুই লেখা ছিলো না। সাথে সাথে বের হয়ে কঙ্কাল গুলো একত্রে করে দরজা বন্ধ করে দিলাম। রাহি কে জাগিয়ে বললাম জলদি চল এইখান থেকে কে যানি জেগে গেছে। মেইন দরজা বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দোতালায় থেকে নেমে কেটে পড়লাম।
চলবে,,,,,,
বিঃদ্রঃ- গল্পটার রহস্য এইখান থেকে শুরু একের পর এক রহস্য বের হয়ে আসবে আপনাদের কাছে জানার ইচ্ছে হলো কে হতে পারে পিন কোডের মালিক?
0 Comments
Thanks for your valuable comment. We will be back soon.
Thank you 😊😊😊